শুনানি বাতিল হওয়ায় কোন অবস্থায় এইমুহুর্তে গ্রেপ্তার হওয়া হেভিওয়েট নেতারা? কলকাতা রাজ্য May 21, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সমগ্র রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল আজকে নারদা মামলার দিকে। কিন্তু একটু বেলা গড়াতেই হাইকোর্টের তরফ থেকে বৃহস্পতিবারের শুনানি বাতিল করা হয় অজ্ঞাত কারণে। যথারীতি তৃণমূল নেতাদের জেলেই কাটাতে হবে। গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে নারদা মামলার টানাপোড়েন। দীর্ঘদিন যাবৎ মামলার তদন্ত চলার পর গত সোমবার সিবিআই গ্রেপ্তার করে তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রকে। একইসাথে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। সোমবার নিম্ন আদালতে জামিন পেলেও রাতের মধ্যেই সেই জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। এরপর বুধবার শুনানি হলেও রায় বেরোয়নি। অতএব বৃহস্পতিবার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই শুনানিও বাতিল হওয়ায় ভেঙে পড়েন গ্রেপ্তার হওয়া রাজনৈতিক নেতারা বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই চার নেতার মধ্যে তিনজন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অন্যজন অসুস্থতা সত্বেও প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে। জানা গিয়েছে তিনি নিশ্চিত ছিলেন বৃহস্পতিবার শুনানিতে ছাড়া পাবেন। এমনকি আইনজীবীদের সঙ্গেও তিনি আলোচনা চালিয়েছেন। অসুস্থতা সত্বেও তিনি হাসপাতালে ভর্তি হননি শুধুমাত্র ছাড়া পেয়ে যাওয়ার আশায়। রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। কিন্তু যখন তিনি জানতে পারেন শুনানি হচ্ছেনা তখন বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। এমনকি কারো সঙ্গেই আর দেখা করেন না। শুধুমাত্র স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কিছুক্ষণ একান্তে কথা বলেন। অন্যদিকে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তাঁর হৃদযন্ত্রের সামান্য সমস্যা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রচণ্ড বিরক্তি প্রকাশ করেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী এদিনের শুনানি স্থগিত হয়ে যাওয়ায়। রাজনৈতিক লড়াইয়ের টানাপোড়েনেই যে এসব ঘটছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি বলে জানা গেছে। একই সাথে রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা মদন মিত্রও চূড়ান্ত হতাশ হয়েছেন য়াজকের শুনানি বাতিল হওয়ায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সদ্যই করোনা থেকে তিনি সেরে উঠেছেন। কিন্তু তার পরেও জেলে যাওয়া মাত্রই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। নতুন করে যাতে তাঁর কোনরকম সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্য ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। এদিকে বাড়িতেও তাঁর স্ত্রী করোনা আক্রান্ত। এই অবস্থায় শুনানি বাতিল তাকেও যথেষ্ট চাপে ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তিনি অপেক্ষা করতে রাজি আছেন, আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেই এই কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্যের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শোভন চট্টোপাধ্যায় উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ শর্করাজনিত রোগে ভুগছেন। সে কারণেই বিশেষ সর্তকতা জারি রেখেছেন চিকিৎসকরা তাঁর প্রতি। তবে সংবাদমাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিশেষ চর্চা হওয়ায় তিনি চূড়ান্ত বিরক্ত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। সব দিক থেকে মানসিকভাবে তিনি যথেষ্ট ভেঙে পড়েছেন বলে খবর। সবমিলিয়ে নারদ কান্ডের চাপানউতোর কার্যত চাপ বাড়িয়েছে শাসক শিবিরে। আপাতত দেখার এই চাপ গ্রেপ্তার হওয়া নেতারা কতটা সামাল দিতে পারেন! আপনার মতামত জানান -