2024 এর লড়াইয়ের জমি কি এখন থেকেই প্রস্তুত করতে শুরু করল তৃণমূল? নতুন সমীকরণ কি কংগ্রেসের সাথে? কংগ্রেস জাতীয় তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য June 11, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি রাজ্য রাজনীতিতেও বর্তমানে কংগ্রেস সরকার যথেষ্ট চাপের মুখে। এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একেবারে শূন্য হয়ে গিয়েছে। যথারীতি কংগ্রেসের সংগঠন রীতিমতো ভেঙে পড়ার মুখে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ছেলে তথা প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখার্জির বাড়িতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি দেখা করতে যাওয়ায়। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে কিংবা জাতীয় রাজনীতিতে মুখ্য বিরোধী হিসেবে মোদি এবং মমতাকে দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কংগ্রেসকে পাশে পেতে তৃণমূল হিসাব-নিকাশ চালাচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে অভিজিৎ মুখার্জির সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর দেখা হওয়াকে নিখাদ সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই দু তরফ থেকেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আবু তাহের ফোন করে তাঁর বাড়িতে আসার কথা বলেন। এবং সবার সাথে যেহেতু খুব ভালো সম্পর্ক তাই সবাই চলে আসেন। এই ঘটনাকে রাজনীতির রং লাগাতে একেবারেই নারাজ প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। প্রসঙ্গত রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, এ রাজ্যে কংগ্রেসের অবস্থান এই মুহূর্তে শূন্য। আগামী দিনেও যে খুব একটা ভালো পরিস্থিতি আসবে তা এখনই বলা যাচ্ছেনা। জাতীয় স্তরের রাজনীতিতেও কংগ্রেস অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই চালাতে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে দেশের রাজনীতিতে ক্রমশ মোদী বনাম মমতার লড়াই প্রধান হয়ে উঠছে এবং গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, 2024 এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অন্যতম মুখ হয়ে উঠতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেক্ষেত্রে তৃণমূল শক্তি বাড়াতে অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলিকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি কংগ্রেস বা গান্ধী পরিবারের ভূমিকা এবার ধীরে ধীরে জাতীয় রাজনীতিতে গৌণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারীরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এসবের পাশাপাশি বিক্ষুব্ধ বিজেপির পক্ষ থেকেও তৃণমূলে যোগদান করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই অনেকেই আবেদন করেছেন বলে খবর।তাই এবার কংগ্রেস এবং বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা-নেত্রীদের একসাথে তৃণমূলের সাথে এনে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে অন্যতম কারিগর ধরা হচ্ছে অভিষেক ব্যানার্জ্জীকে। অন্যদিকে তৃণমূল ছাড়া অন্যান্যদের কাছে এই মুহূর্তে বিকল্প কোনো পথ নেই। তাই নিজেদের রাজনীতিতে টিকিয়ে রাখতে হলে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে না হলে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যোগ দিতেই হবে। তবে সেক্ষেত্রে বেশিরভাগই বেছে নিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এভাবে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাতের পেছনে নতুন কোন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে কিনা, সেদিকেও চোখ রয়েছে রাজনীতির কারবারীদের। পাশাপাশি তৃণমূল দেশজুড়ে কতটা বিজেপি বিরোধী হাওয়া তুলতে পারেন সেটাও দেখার। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে কিন্তু তৃণমূলের চেষ্টা বিফলে যেতে দেখা গিয়েছে। আপনার মতামত জানান -