এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > এবার এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একজোট বিরোধীরা, লোকসভার আগেই মহাজোট নিয়ে জল্পনা!

এবার এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একজোট বিরোধীরা, লোকসভার আগেই মহাজোট নিয়ে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোতে। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে অখিলেশ যাদব, লালুপ্রসাদ থেকে শুরু করে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সকলে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে একদিকে করোনা এবং অন্যদিকে প্রশাসনিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দুর্বলতার অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলো।

আর তার মধ্যে সবথেকে বেশি বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। ইতিমধ্যেই জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের পক্ষপাতিত্ব আচরণের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। যেখানে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য সকলকে লড়াই করতে হচ্ছে, সেখানে কেন করোনা ভাইরাসের ওষুধ এবং অন্যান্য সরঞ্জামের উপর জিএসটি বসানো হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কিন্তু জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এই ব্যাপারে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তার আপত্তির কথা জানাতে চাইলেও, তাকে বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

আর এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে তৃণমূলের এই বক্তব্যকে সমর্থন করে বিজেপি সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে অন্যান্য রাজনৈতিক দল বা অন্যান্য রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা শাসক দলের নেতৃত্বরা‌। যাকে কেন্দ্র করে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জিএসটি ইস্যুকে হাতিয়ার করে এখন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এক ছাতার তলায় আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোতে। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে অখিলেশ যাদব, লালুপ্রসাদ থেকে শুরু করে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সকলে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে একদিকে করোনা এবং অন্যদিকে প্রশাসনিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দুর্বলতার অভিযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলো।

আর তার মধ্যে সবথেকে বেশি বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। ইতিমধ্যেই জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের পক্ষপাতিত্ব আচরণের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। যেখানে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য সকলকে লড়াই করতে হচ্ছে, সেখানে কেন করোনা ভাইরাসের ওষুধ এবং অন্যান্য সরঞ্জামের উপর জিএসটি বসানো হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কিন্তু জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এই ব্যাপারে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তার আপত্তির কথা জানাতে চাইলেও, তাকে বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

আর এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে তৃণমূলের এই বক্তব্যকে সমর্থন করে বিজেপি সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে অন্যান্য রাজনৈতিক দল বা অন্যান্য রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা শাসক দলের নেতৃত্বরা‌। যাকে কেন্দ্র করে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জিএসটি ইস্যুকে হাতিয়ার করে এখন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এক ছাতার তলায় আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রীকে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বলতে না দেওয়া নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে কেরলের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে। এদিন একটি টুইট করে তিনি লেখে,ন “অভাবনীয় যে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রীকে কণ্ঠরোধের অভিযোগ জানাতে হচ্ছে। সর্বসমক্ষে জানাতে হচ্ছে যে, তাকে বলতে দেওয়া হয়নি। কমেন্ট মুছে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মাইক্রোফোন।” একইভাবে এই ব্যাপারে সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল বাম এবং কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুসরণ করে পরিষদের বৈঠক হয়ে দাঁড়িয়েছে, মন কি বাত। শুধু নিজেরা বলবে। কিন্তু শুনতে প্রস্তুত নয়।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান বলেন, “জিএসটি বৈঠকে বিরোধীদের তরফ থেকে ওঠা প্রস্তাব যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু সেই দাবি মানা তো দূরের কথা, কেন্দ্র কোনো যুক্তির কথা শুনতেই রাজি হচ্ছে না।” আর প্রত্যাশিত মতই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “পরিষদের বৈঠকে যা ঘটেছে, তা চূড়ান্ত অপমানজনক। এরপরে বিরোধী রাজ্যগুলো একজোট হয়ে ভাববে, কি করনীয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিরোধী রাজ্যগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে পদক্ষেপের চেষ্টা করছি।” অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে কথা না বলার ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে চাপ বাড়ানোর জন্য অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলোর এককাট্টা করার কাজ চলছে।

আর তা সৌগত রায়ের কথা থেকেই পরিষ্কার। যার ফলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে, আগামী 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এখন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা হাতে হাত ধরে বিজেপি সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার কৌশল গ্রহণ করেছেন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও, এবার তারা বিরোধীদলের জায়গা দখল করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে প্রধান লড়াই হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির। কিন্তু এর মাঝেই বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরনের অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার।

সম্প্রতি জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে বলতে না দেওয়া নিয়ে এতদিন প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসকে। কিন্তু এবার বিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো তৃণমূলের সুরেই সুর মিলিয়ে গোটা বিষয়টিকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে। আর বিরোধীদের এই প্রতিবাদকে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণে অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলোকে সাথে নিয়ে এখন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে ঘাসফুল শিবির বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!