এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেক বড় দায়িত্ব দিতেই তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নামলেন কোনঠাসা হয়ে থাকা প্রাক্তন তৃণমূলী মন্ত্রী

অভিষেক বড় দায়িত্ব দিতেই তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নামলেন কোনঠাসা হয়ে থাকা প্রাক্তন তৃণমূলী মন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তিনি। তবে 2016 সালে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর সেভাবে মালদহ জেলা রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়নি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে। মাঝেমধ্যেই নীহার রঞ্জন ঘোষের সঙ্গে তার বিবাদ শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিককালে শিলিগুড়িতে এসে উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাকে নিয়ে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মত আবার নতুন করে জেলা রাজনীতিতে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।

এদিকে জেলা রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় হওয়ার পরেই মালদহ জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা বুধবার ঘুরিয়ে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গেছে কৃষ্ণেন্দুবাবুকে। অন্যদিকে জেলা নেতৃত্বও কৃষ্ণেন্দুবাবুকে নিয়ে খুব একটা উৎসাহী নয়। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে সক্রিয় করার কথা বলা হলেও, তিনি যদি সক্রিয় হতে শুরু করেন, তাহলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বাড়বে বলে দাবি করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, এদিন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “আমি সারা বছর সংগঠন করি। তবে এবার ব্লকে ব্লকে গিয়ে দলকে চাঙ্গা করব। লোকসভা নির্বাচনে আমরা আশানুরূপ ফল করতে পারিনি। সেই ভুল শুধরে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেও অনেকে কাজ করছেন না। আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাঁদের ফল ভুগতে হবে।” অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক থেকে ফিরে আসার পরেই এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জেলা নেতৃত্বে একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার ফলে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা নেতৃত্ব। যদিও বা কৃষ্ণেন্দুবাবুর এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর। এদিন তিনি বলেন, “জেলা নেতৃত্ব সম্পর্কে কে কি মন্তব্য করছে, তাতে গুরুত্ব দিতে চাই না। আমরা রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে চলি। তবে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কিছু বলতে চাই না। দলের ভালোর জন্য যা করার করব।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একসময় এই কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী মালদহ জেলায় তৃণমূলের অন্যতম নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু ইংলিশবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যাওয়ার পরেই তার গুরুত্ব ক্রমশ কমতে থাকে। পরবর্তীতে জেলার অনেক নেতার সঙ্গে তার প্রবল দূরত্ব তৈরি হয়। আর এবার সামনের বিধানসভা নির্বাচনে যাতে সকলকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করানো যায়, তার জন্য শিলিগুড়ির বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে কিছুটা হলেও গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে খবর। আর গুরুত্ব পেতে না পেতেই যেভাবে জেলা নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, তাতে মালদহ জেলার গোষ্ঠী কোন্দল আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!