করোনায় মহাসংকট, উদ্বেগ বাড়িয়ে বন্ধ খাদ্য পরিষেবা! মাথায় হাত সাধারণের! রাজ্য June 14, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2020 সাল থেকে শুরু হয়েছে অচলাবস্থা। করোনা ভাইরাস আসার কারণে লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় আর্থিক অনটনে পড়ে গিয়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষরা। কিভাবে সংসার চালাবেন, তা কেউ জানেন না। আর এই পরিস্থিতিতে অনেকেই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের উপর ভরসা রাখতে শুরু করেছিলেন। উপভোক্তাদের খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হলে তা দিয়েই পেট ভর্তি করতেন বাড়ির অন্যান্য সদস্য-সদস্যারা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলোতে খাদ্য সামগ্রী বিলি প্রক্রিয়া। যার জেরে করোনা ভাইরাসের এই সময়কালে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়েছেন অনেক মা এবং শিশুরা। যেখানে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার থেকে তাদের খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হত, সেখানে 5 মাস ধরে কোনো রকম খাদ্য না দেওয়ার কারণে অপুষ্টির শিকার হচ্ছেন অনেকে। বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করার কারণে এবং দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কারণে রুজিরুটিতে আবার টান পড়তে শুরু করেছে। আর তার মাঝেই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলো থেকেও যদি পর্যাপ্ত খাবার না আসে, তাহলে কিভাবে তারা দিনযাপন করবেন, এখন সেটাই অনেকের কাছে বড় প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে রাজ্যের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ করা হচ্ছে, কেন্দ্র খাদ্য বরাদ্দ করা বন্ধ করে দিয়েছে। আর সেই কারণে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলো থেকে খাদ্য পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলোতে বকেয়া বরাদ্দ মিলেছিল। কিন্তু তারপর থেকে আর কোনো রকম বরাদ্দ আসছে না। যার ফলে উপভোক্তাদের খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। তবে বিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে মাসের একটা সময় বেছে নিয়ে মিড-ডে-মিল দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের উপর যে সমস্ত মা এবং শিশুরা নির্ভরশীল, তারা এখন ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়ে গিয়েছেন। যার ফলে অপুষ্টিজনিত রোগ আবার মাথাচাড়া দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা বলেন, “করোনা বেড়ে যাওয়ার কারণে তিন মাস হল লোকের বাড়ি ছাড়িয়ে দিয়েছে। আধপেটা খেয়ে থাকছি। অঙ্গনওয়াড়িতে অনেকটা সুবিধে হত। অনেক মাস ধরে তা বন্ধ আছে।” অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, অঙ্গনওড়াড়ি সেন্টারের উপর নির্ভরশীল মানুষেরা এখন দু বেলা ভরপেট খেতে না পেয়ে ব্যাপক সমস্যার মুখে রয়েছেন। তাই সরকারের কাছে সকলেই আবেদন করছেন, দ্রুত অঙ্গনওয়াড়ির মধ্যে দিয়ে যে সমস্ত খাবার বিতরণ করা হয়, তার সচল করা হোক। তবে কোথা থেকে কিভাবে আসবে খাবার? এদিন এই ব্যাপারে যুক্তি দিয়েছেন রাজ্যের নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। যেখানে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি। মন্ত্রী মহোদয়া বলেন, “ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং এপ্রিল, এই তিন মাস রাজ্যে চাল হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্র বরাদ্দ আসেনি। ইতিমধ্যেই উপভোক্তার সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু বরাদ্দ না বাড়ার কারণে গত অর্থবছরে 29 হাজার 94 মেট্রিক টন চালের ঘাটতি পূরণ করা যায়নি। কেন্দ্রকে দুবার জানিয়েও সুরাহা হয়নি!” তবে রাজ্যের নারী শিশু কল্যাণ মন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও তা মানতে নারাজ কেন্দ্র তাদের পাল্টা দাবি, মাঝে নির্বাচন চলে আসার কারণে একটু সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু তিন মাস রাজ্য কেন হাত গুটিয়ে বসেছিল, তা জানা নেই। তবে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের তরজা আর এই বিষয়ে চাইছেন না সাধারণ মানুষ। তাদের একটাই আবেদন, করোনা পরিস্থিতিতে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের উপর ভরসা রাখা মা এবং শিশুদের চাহিদা পূরণ করা হোক। সব মিলিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের মধ্যে দিয়ে মা এবং শিশুদের খাদ্য পৌঁছে দিতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকার, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -