এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সরকারের অনুমতি ছাড়াই যেমন খুশি তেমন ভাড়া একাধিক রুটের বাসে, প্রাণ ওষ্ঠাগত আমজনতার

সরকারের অনুমতি ছাড়াই যেমন খুশি তেমন ভাড়া একাধিক রুটের বাসে, প্রাণ ওষ্ঠাগত আমজনতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতবছর আনলক পর্ব শুরু হতেই বাস ভাড়া জন্য বৃদ্ধির জন্য একাধিকবার দাবি তুলতে দেখা গিয়েছিল বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনকে। সম্প্রতি জ্বালানির মূল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায়, আবার বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবি তোলা হয়েছে। যদিও রাজ্যের পক্ষ থেকে এখনও বাসভাড়া বৃদ্ধিতে সম্মতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু অনুমতির তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছেমতো বাসভাড়া নিচ্ছেন বিভিন্ন রুটের বাসের কন্ডাক্টারেরা। কখনো দ্বিগুন, কখনো তিনগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কখনো বাসে উঠলেই দিতে হচ্ছে ১৫ টাকা ভাড়া।

এরপর প্রতি ৪ কিলোমিটারে ৫ টাকা করে ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। ১৬ কিলোমিটার দূরত্ব যেতে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩৫ টাকা, যার ভাড়া হওয়ার কথা ১২ টাকা। কখনো কখনো ১০ টাকা সর্বনিম্ন ভাড়া নিয়ে বাসে উঠতে দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ১৬ কিলোমিটার যেতে ভাড়া দিতে হচ্ছে ৩০ টাকা। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বহু যাত্রী। কিন্তু বাসের সংখ্যা অত্যন্ত কম থাকায় বাস কন্ডাক্টারদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা।

বাস মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, জ্বালানির যেভাবে মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে, তাতে ভাড়া বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো সম্ভব নয়। বাস মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে আরও বেশি করে বাস রাস্তায় নামতে পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রোড ট্যাক্স মকুব করা হলেও, তাতে সমস্যার তেমন সমাধান হচ্ছে না। যে কটি বাস রাস্তায় নামছে, তাদের সংখ্যা অত্যন্ত কম। অনেকে বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রথম ধাপেই ১৫ টাকা ভাড়া নেওয়া উচিত নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

হাওড়া স্টেশন থেকে বড়বাজার যেতেই ভাড়া দিতে হচ্ছে ১৫ টাকা। স্টেশনের ধারে, ব্রিজের সামনে কিছু বাস দাঁড়িয়ে আছে। যেখানে উঠতে গেলে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। উত্তর কলকাতা, শহরতলির মধ্যে বেশকিছু বাসের ক্ষেত্রেও এই ঘটনা ঘটছে। সলপ, ডানকুনি থেকে সেক্টর ফাইভ বা উল্টোডাঙ্গা যাবার ক্ষেত্রেও এরকম ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেশি দূরত্ব যেতে হলে দু বা আড়াই গুন্ ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন বহু মানুষ।

এ প্রসঙ্গে বাস মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে একটু বেশি ভাড়া নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কখনই দ্বিগুণ বা তার বেশি ভাড়া নেওয়া উচিত নয়। এ প্রসঙ্গে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, সরকারি নির্দেশিকা ছাড়া বাসের ভাড়া বাড়ানো বেআইনি ব্যাপার। সরকার ভাড়া বৃদ্ধি করে একটা নির্দিষ্ট ভাড়া ঠিক করে দিক, যাতে মানুষ ও কন্ডাক্টারের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি শেষ হয়। বেশি ভাড়া নিয়ে গত বছরও অশান্তি হয়েছিল।

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে ওয়েস্টবেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বোস জানিয়েছেন যে, কোথাও কোথাও ৭ এর ভাড়া অনুদান হিসেবে ১০ টাকা নেয়া হচ্ছে। তবে একবারে ১৫ টাকা ভাড়া নেওয়া কখনই উচিত নয়। হয়তো এসটিএ পারমিট যাদের রয়েছে, তারাই এটা করছেন। এই সমস্ত বাসে এমনিতেই বেশি ভাড়া দিতে হয়। অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন যে, এরকমভাবে বাড়তি ভাড়া নেওয়া বেআইনি। সাধারণ মানুষ এমনিতেই সমস্যার মধ্যে আছেন। তার মধ্যে বাড়তি ভাড়া না নিতে বাস মালিকদের অনুরোধ করবেন তিনি। এভাবেই অতিমারীর বাজারে বাস নিয়ে সমস্যা ও অতিরিক্ত বাস ভাড়া দিতে ভারে মা ভবানী অবস্থা সাধারণ মানুষের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!