এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > কংগ্রেসের সভানেত্রীর পদ ছেড়ে দিতে চলেছেন সোনিয়া গান্ধী? কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

কংগ্রেসের সভানেত্রীর পদ ছেড়ে দিতে চলেছেন সোনিয়া গান্ধী? কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল গান্ধী। লোকসভা নির্বাচনের পরাজয় স্বীকার করে সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এরপর কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী হন সোনিয়া গান্ধী। জানা যাচ্ছে, এবার কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ ছেড়ে দিতে পারেন সোনিয়া গান্ধী। কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন? তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে অনেকে মনে করছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তিনি। কংগ্রেসের সভাপতির পদ গান্ধী পরিবারের কোনো সদস্যও নেবেন না। পরিবর্তে এই পদে আসতে পারেন কংগ্রেস নেতা কমল নাথ। আগামী মাসেই এর সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে একটি বৈঠক বসতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের। সেখানে বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে। কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ যেমন ছেড়ে দিতে পারেন সোনিয়া গান্ধী, তেমনি আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে কংগ্রেসে। ইতিপূর্বে, একাধিক কংগ্রেস নেতা সভাপতি পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, কপিল সিব্বল, শশী থারুর প্রমুখরা। তবে একাধিক কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধীকেই সভাপতির পদে আসীন থাকার অনুরোধ করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, মূলত শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এবার এই দায়িত্ব থেকে সরে আসতে চেয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসের উপরে গান্ধী পরিবারের কর্তৃত্ব নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। এ কারণেও এই পদ থেকে সরে আসতে পারেন সোনিয়া গান্ধী। অন্যদিকে কংগ্রেসের সভাপতি করা হতে পারে বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা কমলনাথকে। একটা সময় কংগ্রেসের জেনারেলের সেক্রেটারির কাজ করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কংগ্রেস করছেন। বহুদিনের পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ তিনি। তাই তাঁর উপর এই গুরুদায়িত্ব দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে এই বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে একাধিক রাজ্যে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলেছে। যে রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথমেই উঠে আসে রাজস্থান, এছাড়া কংগ্রেসকে যথেষ্ট ভাবাচ্ছে পাঞ্জাবের মত রাজ্য। এদিকে সম্প্রতি বিহারেও কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি দলের রাজ্য নেতৃত্তের একাংশের প্রতি দলের অপর অংশের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বিহারের রাজ্য সভাপতি পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন। এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই কংগ্রেসের সভাপতি করা হতে পারে পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ ও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কমলনাথকে। আগামী লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে দলে রদবদল ঘটিয়ে দলকে শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত রয়েছে কংগ্রেসের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!