এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভবানীপুরে তৃণমূলের মূলোৎপাটনে বিশেষ পদক্ষেপ বিজেপির, জোর শোরগোল বঙ্গ রাজনীতিতে

ভবানীপুরে তৃণমূলের মূলোৎপাটনে বিশেষ পদক্ষেপ বিজেপির, জোর শোরগোল বঙ্গ রাজনীতিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাতে আর মাত্র ৩ দিন, এরপরই ভবানীপুরের হাইভোল্টেজ উপনির্বাচন, আর আজই তার প্রচারের শেষ দিন। এদিকে ভবানীপুর মুখ্যমন্ত্রীর খেলার মাঠ। এবার এই খেলার মাঠ ভবানীপুরেই মুখ্যমন্ত্রীকে পরাস্ত করতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিজেপি। আজ ভবানীপুরে শেষ প্রচারের দিনেই প্রচারে ঝড় তুলতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৮০ জন বিজেপি নেতা নামবেন প্রচারে।

বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আজ ভবানীপুরে মোট ৮০ টি জায়গায় বিজেপির ৮০ জন হেভিওয়েট প্রচারে নামবেন। যাদের মধ্যে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, তাঁরা ছাড়াও থাকবেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, দেবশ্রী চৌধুরী, সুভাষ সরকার, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, স্বপন দাশগুপ্ত, সৌমিত্র খাঁ প্রমুখরা, এছাড়াও থাকবেন বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলী, অগ্নিমিত্রা পাল, ভারতী ঘোষ, আবার বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, বিমান ঘোষ, বঙ্কিম চন্দ্র ঘোষ, বিধায়ক অশোক দিন্দাও আসতে চলেছেন ভবানিপুরে। ভবানিপুরের অলিতে-গলিতে তাঁরা তুলবেন প্রচারের ঝড়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ ভবানীপুরে শেষ প্রচারের দিনেই আজ বড়োসড়ো চমক দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির। ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বড়োসড়ো লড়াইয়ে নেমেছে গেরুয়া শিবির। এ কারণে ভবানীপুরে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এসেছেন প্রচারে। একাধিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে চলছে ভবানীপুরের সরগরম প্রচার। যার মধ্যে রয়েছে ভোট-পরবর্তী হিংসা। ভোট-পরবর্তী হিংসায় মৃত বিজেপি নেতার পরিবার এসেছেন ভবানীপুরে। আজ সোমবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রচারের ঝড় তোলার পরিকল্পনা করছে বিজেপি।

আজ দুটি ধাপে ভবানীপুরে প্রচারের ঝড় তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। আজ সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত প্রথম ধাপ, পরবর্তী ধাপ শুরু হবে দুপুর ২ টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করা হবে যে, বাংলার মান সম্মান পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব রয়েছে বিজেপির। নন্দীগ্রামে পরাজিত হবার পর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন ও গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর সঙ্গে সঙ্গেই চলবে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রচারের ঝড়।

অন্যদিকে, ভবানীপুরে হাত গুটিয়ে বসে নেই তৃণমূল। আজ শেষ বেলায় বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রচারের নামতে চলেছে তৃণমূল। এদিকে গতকাল ভবানীপুরে প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, বাংলায় এখন শান্তি বিরাজ করছে, এ কারণেই রোমের শান্তি সম্মেলনে বাংলাকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে যাবার অনুমতি দেয়া হয়নি তাঁকে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারকে হিংসুটে বলে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানালেন, তিনি যদি রোমে যাওয়ার জন্য ফিট না হন, তাহলে কোনটি ফিট? আর কোনটি আনফিট? নিজের ভালো-মন্দ কি বুঝতে পারবেন না তিনি? তিনি জানালেন, সৌজন্যতার খাতিরে অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি। দেশের বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তিনি রাখতে চান। কিন্তু তাঁকে এভাবে যেতে না দিয়ে কখনই তাঁর মুখ বন্ধ করে রাখা যাবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!