সরকারের সঙ্গে সংঘাত চরমে, কড়া জবাব দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর কলকাতা রাজ্য November 11, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের শিল্পোদ্যোগ নিয়ে বরাবরই কটাক্ষ করে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যে শিল্প নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কিন্তু তারপরেই গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে আরো একবার ব্যাপক কটাক্ষ করা হয়। পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং জবাব চেয়েছিলেন রাজ্য সরকারের কাছে। রাজ্যপালকে জবাব দিতে ময়দানে নামেন রাজ্যের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র। তিনি পাল্টা টুইট করে রাজ্যপালকে জবাব দেন। কিন্তু রাজ্যপাল সমস্ত কটাক্ষ এড়িয়ে গিয়ে নতুন করে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য সম্মেলনকে কেন্দ্র করে। বুধবার অমিত মিত্র টুইট করে জানান, রাজ্যপালকে তিনি চার পাতার চিঠি পাঠিয়ে সমস্ত জানিয়েছেন। অমিত মিত্র দাবি করেন 9 নভেম্বর রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য সম্মেলনকে সমর্থন করে রাজ্যপাল বক্তব্য রেখেছিলেন। এমনকি তিনি সবরকম সাহায্য করবেন বলেও জানান। 24 ঘন্টার মধ্যে তিনি অবস্থান বদল করলেন। রাজ্যপালের এই অবস্থান বদলকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে ব্যাখ্যা করেন রাজ্যের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। এমনকি রাজ্যপালকে ডক্টর জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইডের সাথে তুলনা করেন অমিত মিত্র। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও এর জবাব প্রায় সাথে সাথেই দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। কার্যত রাজ্যপাল জানিয়েছেন, অমিত মিত্রের কাছ থেকে তিনি এ ধরনের ব্যাবহার আশা করেন না। পাশাপাশি অমিত মিত্র তাঁর পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন বলেও জানান। কার্যত রাজ্যপাল প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট এর পাঁচটি সম্মেলনে যে 12 লক্ষ 30 হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছিল, তা পশ্চিমবঙ্গের কোথায় হয়েছে? কোন কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে? এবং যে বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছিল তার বর্তমান পরিস্থিতি কি? এই বিনিয়োগের ফলে কতজন চাকরি পেয়েছেন? রাজ্যপাল জানান, তাঁর এইসব প্রশ্নের কোন উত্তর অমিত মিত্র দেননি। সব মিলিয়ে রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে আরো একবার সংঘাত সামনে এল। রাজ্যপালের এইসব প্রশ্নের পাল্টা উত্তর অবশ্য এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি। আপাতত রাজ্য সরকার কি উত্তর দেয়, এখন সেটাই দেখার। আপনার মতামত জানান -