জনতার জন্য বড় ঘোষণা মোদীর! তবে চোর তৃনমূলের নাটক শুরু, কটাক্ষ বিজেপির! জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 5, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে চুরি করে, মানুষের টাকা লুট করে, মানুষকে বিপদের মুখে ফেলছে তৃণমূল। তবে দেশের সরকার এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন সেই মানুষের সুবিধার জন্য কোনো ঘোষণা করছেন, তখন তাকে আটকানোর জন্য সব চেষ্টা করছে এই পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। এবার তারা প্রধানমন্ত্রীর বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ঘোষণাকে আপত্তি জানিয়ে চলে গেল নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে। তাদের দাবি যে, প্রধানমন্ত্রী নাকি দুই রাজ্যে ভোটের সময় এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন। কিন্তু যারা মানুষের টাকা চুরি করেছে, তাদের মুখ থেকে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা সম্পর্কে আপত্তি অন্তত মানায় না। তাই বিজেপি তৃণমূল নেতৃত্বের পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে সোচ্চার হতে শুরু করেছে। তাদের বক্তব্য, চোর তৃণমূলের এই নতুন সকলেই নাটক ধরে ফেলেছে। তাই তাদের কমিশনের দপ্তরে যাওয়া নিয়ে কারওর কিছু এসে যায় না। মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে কিনা, সেটাই বড় কথা। তাই তারা যেখানে খুশি যেতে পারে। প্রসঙ্গত, এদিন মধ্যপ্রদেশের ভোট প্রচারে গিয়ে আগামী পাঁচ বছর বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে নির্বাচন কমিশনের একটি চিঠি লিখে অভিযোগ জানান। তার বক্তব্য যে, ভোটের সময় এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তৃণমূলের এই পদক্ষেপ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন, যারা রেশন চুরি করে মানুষের খাবার চাল নিয়ে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে তারা মোদীর এই বড় প্রকল্পকে খাটো করতে পারেন না। গরিব মানুষের দুঃখ তৃণমূল অন্তত বুঝবে না। প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে রেশন দিয়ে মানুষের দুঃখ নিবারণ করার চেষ্টা করছেন। আর তিনি আইনটা বেশ ভালোই জানেন। তাই তাকে আইন শেখানোর জন্য তৃণমূলকে এই অভিযোগ করার নাটক না করলেও চলবে বলেই দাবি একাংশের। বিজেপির দাবি, একদিকে রেশনের চাল চুরি করছে তৃণমূল, অপরদিকে সেই রেশন মানুষকে বিনামূল্যে দেওয়ার কথা ঘোষণা করছেন প্রধানমন্ত্রী। এটাই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে পার্থক্য। মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেখানেও তৃণমূলের গাত্রদাহ হচ্ছে। তারা মানুষকে বিপাকে ফেলতে চাইছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর বিনামূল্যে দেওয়া রেশনকে নিয়েও প্রশ্ন তুলে তা আটকাতে কমিশনের দরজায় চলে গিয়েছে তারা। তবে এসব করে আর যাই হোক, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন মূলক প্রকল্পকে আটকাতে পারবে না চোর তৃণমূলের নেতারা। লজ্জা থাকলে তারা অন্তত মানুষকে সঠিক পরিষেবা দিয়ে চুরি বন্ধ করে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের সাথী হতে পারতেন। কিন্তু তা না করে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের আরও বড় চোর প্রমাণ করলেন তৃণমূল নেতারা বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবির। পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল সাংসদ যদি নির্বাচন কমিশনে এই অভিযোগ করে ভাবেন যে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে, তাহলে তিনি ভুল করছেন। যে কোনো একটি চলমান প্রকল্প নিয়ে যে কোনো ঘোষণা হতেই পারে। আর প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলের থেকে আইন অনেক বেশি ভালো জানেন। তিনি দেশের সংবিধান এবং বিচার ব্যবস্থাকে মান্যতা দিয়েই কাজ করেন। দেশের মানুষের মন তিনি ভালোই বোঝেন। আর যাই হোক, তৃণমূলের মত চুরি বিদ্যায় বিজেপি নেতারা হাত পাকায়নি। তাই মানুষের চাল চুরি করে তৃণমূল নেতারা যখন জেলে, তখন প্রধানমন্ত্রী সেই মানুষের পাশে থেকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ঘোষণা করছেন। তাই চোর তৃণমূলের নেতার কথায় আর যাই হোক চিড়ে ভিজবে না। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বিরুদ্ধে তাদের কমিশনের কাছে অভিযোগ আদৌ বাস্তবে গ্রহণযোগ্য হবে না। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -