পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থান রুখতে এবার মিশে যাচ্ছেন বামপন্থী ও উদারপন্থী বিশিষ্টেরা বিশেষ খবর রাজ্য April 17, 2018 পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থান রুখতে এবার মিশে যাচ্ছেন বামপন্থী ও উদারপন্থী বিশিষ্টজনেরা। রাজ্য বিজেপির বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে গতবছর অর্থাৎ ১৪২৪ বঙ্গাব্দের শুরুতে বাংলাদেশী ধাঁচে বর্ষবরণের উদ্দেশ্যে মঙ্গল-শোভাযাত্রার আয়োজন করে বামপন্থী ও উদারপন্থী শিল্পী-কলাকুশলী ও সাধারণ মানুষ। এবছরের প্রথম দিনে একইভাবে নববর্ষ পালন করলেন তারা। তবে এ বছর দুটি শোভাযাত্রা বার হয় এবং দুটিরই আয়োজন করে ‘বাংলা নববর্ষ উদযাপন পরিষদ’। একটি শোভাযাত্রা গাঙ্গুলিবাগান থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত হয় যেখানে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষের সাথে পা মেলান সংগীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের শিল্পীরা। অন্য শোভাযাত্রাটি হয় সুকান্ত সেতু থেকে ঢাকুরিয়া পর্যন্ত যাতে উপস্থিত ছিলেন নাট্যকর বিভাস চক্রবর্তী, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রমুখ। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে শোভাযাত্রায় অংশ নেন সোনারপুরের সংখ্যালঘু মানুষরাও। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রথমে গাঙ্গুলিবাগান থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শোভাযাত্রাটিরই পরিকল্পনা হয়। কিন্তু স্থানীয় এক নেতার সাথে অন্যান্যদের হাঁটতে অসুবিধা থাকায় দু’টি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এবিষয়ে শোভাযাত্রার অন্যতম আয়োজক প্রদীপ সেনগুপ্ত বলেন, শোভাযাত্রার শুরুর স্থান নিয়ে বিভিন্ন মতামত এসেছিল। শেষ পর্যন্ত সবটা করে ওঠা যায়নি। তাই আলাদা করা হয়েছে। অন্য কোনও কারণ নেই। সম্প্রীতির প্রশ্নে মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলাদেশের মতো এ বঙ্গেও করা গেলে অন্য মাত্রা পাবে। অন্যদিকে আরেক অন্যতম আয়োজক উর্মি রহমান বলেন, অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বেশি থাকাতেই দু’টি শোভাযাত্রা করতে হয়েছে। আগামী বছর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। এদিকে গতবছর পর্যন্ত নববর্ষ পালন না করলেও এবছর নববর্ষ পালনে বিরত থাকলো না রাজ্য বিজেপি। সরাসরি বিজেপির নাম ব্যবহার না করে ভারতীয় জাদুঘরে বঙ্গ উৎসব মঞ্চের তরফে অনুষ্ঠানটি পালন করা হয়। কিন্তু রাজ্য বিজেপির দফতর থেকে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ বিলি করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জলসম্পদ ও নদী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। আপনার মতামত জানান -