আইনজীবীদের বৈঠকে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি, নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য April 27, 2018 গতকাল এক দৃষ্টান্তকারী ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন। কয়েকদিন ধরেই হাইকোর্টের আইনজীবীদের মধ্যে কর্মবিরতির আন্দোলন চলছে। এদিকে আন্দোলনের প্রধান দাবিটি কর্তৃপক্ষ মঞ্জুর করেছেন তাই একপক্ষ কর্ম বিরতি প্রত্যাহার করে পুনরায় কাজে বহাল হওয়ায় আগ্রহী আর অন্যপক্ষ বাকি দাবি গুলিকে হাতিয়ার করে আন্দোলনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে অবিচল। সূত্রের খবর অনুয়ারী কর্ম বিরতি প্রত্যাহার করা হবে না আন্দোলনের ধারা অব্যাহত থাকবে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা এদিন বৈঠকের আয়োজন করে। সেখানে প্রথমে বাক যুদ্ধ থেকে ক্রমে সেটা মুষ্ঠি যুদ্ধতে অবতীর্ন হয়। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে সেখানে চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি অবধি হয়। এই তান্ডবের জেরে বৈঠক রীতিমতো পন্ড হয়ে যায়। উপস্থিত কয়েকজন কর্মকর্তা এই হানাহানির ঘটনায় আহত হন। এই হানহানির ঘটনায় যে উদ্দেশ্য বৈঠকের আয়োজন হয়েছিলো সেই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। আগামী সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের চার জন দীর্ঘদিনের আইনজীবি যথাক্রমে অমৃতা সিনহা, জয় সেনগুপ্ত, বিশ্বজিত্ বসু ও অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ বিচারক হিসেবে শপথ নেবেন। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের ভিত্তিতেই সমগ্র প্রক্রিয়াটি সম্পাদিত হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , শূন্যপদে বিচারপতি নিয়োগ সহ মোট চার দফা দাবিতে গত ১৯ শে ফেব্রুয়ারী থেকে আইনজীবিরা কর্ম বিরতি পালন করে আসছে। তাঁদের দাবি গুলি হলো অন্তত ৫০ শতাংশ আসনে বিচারক নিযুক্ত করতে হবে। হাইকোর্টের সমস্যা দ্রুত নিস্পত্তির জন্য সুপ্রিমকোর্টে কলকাতা হাইকোর্টের একজন রিপ্রেজেনটেটিভ রাখতে হবে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতির মোট ৭২টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে বর্তমানে বিচারপতির সংখ্যা ৩৩টি। এঁদের মধ্যে ২জনকে পাঠানো হয়েছে আন্দামানের সার্কিটবেঞ্চে। আগামী সপ্তাহে ৪ জন বিচারপতি শপথ নিলে বিচারপতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৩৭। হিসেব করে দেখলে যা দাঁড়ায় ৫০ শতাংশের কিছু বেশি। এই আংশিক দাবি পূরণ হওয়ার কারণে আন্দোলঙ্কারীরা কর্ম বিরতি প্রত্যাহার করে নেবেন কিনা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে এদিনের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিলো। বার অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্যের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানানলেন, ”বৈঠক শুরুতে ভালোই শুরু হয়েছিল। আচমকায় কথা কাটাকাটি থেকে দু’পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ল।” তবে কারুর নাম উল্লেখ করে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে চায়নি আদালত চত্বরের কেউই। আপনার মতামত জানান -