বৃদ্ধার জমি দখল ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অগ্নিগর্ভ মালদা,বৃদ্ধাকে খুনের চেষ্টা রাজ্য June 3, 2018 পঞ্চায়েত নির্বাচনপর্ব থেকে যে হিংসার রাজনীতি শুরু হয়েছিলো তাতে ইতি টানা গেলো নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও। সন্ত্রাসের বিষ দিকে দিকে আজও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে আম জনতার মনে। এদিন মালদা জেলার রতুয়া থানার আওয়াধীন সামসি রতনপুরের লালপাড়া এলাকায় খুনের চেষ্টা করা হল এক বৃদ্ধাসহ জনা চারেককে। জানা যাচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এরকম অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল ওই এলাকায়। সাবিত্রী মন্ডল নাম্মী তৃণমূলের সমর্থক ওই বৃদ্ধার তিন শতক জমি নিয়ে নাকি ঝামেলা বাঁধে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর ভিতর। ঝামেলা তুঙ্গে উঠলে তা নেয় সংঘর্ষের আকার। বৃদ্ধা ঠেকাতে গেলে তাকে লাঠি,রড দিয়ে মারধোর করে শাসকদলের ওই গুন্ডারা। এমনকি ধারালো অস্ত্র বাগিয়ে খুন করারও চেষ্টা করা হয়। বৃদ্ধাকে বাঁচাতে গিয়েই তাঁর দুই ছেলে (চন্দ্রকুমার মন্ডল,অচিন্ত্য মন্ডল) ও নাতি দুষ্কৃতিদের হাতে জখম হন। ঘটনাস্থলে গুরুতর জখম হন বৃদ্ধা নিজেও। এমনটাই অভিযোগে জানা গেছে। এর পাশাপাশি আরো খবর পাওয়া গেছে, আক্রান্তদের এলাকাবাসীর তৎপরতায় প্রথমে ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু আঘাত এর অবস্থা দেখে তাঁদেরকে পাঠানো হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে তাঁরা ওখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এমনটাই জানা যাচ্ছে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবরে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এ ব্যাপারে অভিযোগ করতে মুখ খোলেন বৃদ্ধার এক ছেলে। জানান, টিঙ্কু মন্ডল এবং অজয় মন্ডলের তৃণমূল দল দীর্ঘদিন ধরেই বৃদ্ধার তিনি শতক জমি হাতানোর ফিরিকে ছিল। প্রতিবাদ করতে গেলে টিঙ্কু মন্ডলের দলবল তাঁদের বাড়িতে হাতিয়ার নিয়ে চড়াও হয়। জমি দখলের চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে করা হয় বেধড়ক মারধোর। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের মাকে কুপিয়ে খুন করতেও পিছপ হয়নি তাঁরা। এই ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকাতেই। প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে স্থানীয়রাও। সমসী ফাঁড়ির পুলিশ তদন্তেও নেমছে। তবে এখনো ধরা পড়েনি অভিযুক্তদের কেউই। তবে তৃণমূলের কার্যকারি সভাপতি দুলাল সরকার আবার দাবীতে জানিয়েছেন যে হামলার বিষয়টি তাঁর কানে এসেও পৌছেছে। তাঁরা এ ব্যাপারে বিশদে খোঁজ নিচ্ছেন। যদি হামলার ঘটনায় তাঁদের দলের কেউ যুক্ত থাকে তবে নিশ্চয়ই দল দোষীদের শাস্তি দিতে কড়া পদক্ষেপ নেবে। এই ঘটনা প্রশ্নচিহ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর। কী বলছে রাজ্যের শাসকদলের শীর্ষনেতারা এ ব্যাপারে? অবশ্য তাঁদের থেকে এখনো কিছু জানা যায়নি। তবে পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে জানা যাবে দোষীদের নাম,এমনটাই আশা করা যায়। আপনার মতামত জানান -