এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বরকতির দিকে গেরুয়া শিবির হাত বাড়াতেই কি ধীরে চলো নীতি নবান্নের

বরকতির দিকে গেরুয়া শিবির হাত বাড়াতেই কি ধীরে চলো নীতি নবান্নের


একসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম নুরুর রহমান বরকতি। কিন্তু উস্কানিমূলক মন্তব্য, নিজের গাড়িতে অবৈধ ভাবে লাল বাতি ব্যবহার সহ বিভিন্ন অভিযোগে তাঁকে সেই টিপু সুলতান মসজিদ থেকেই বহিষ্কার করা হয়। দুর্জনেরা অবশ্য বলেন, শাসকদলের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়াতেই এহেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। আর মসজিদ থেকে বহিষ্কৃত হতেই তাঁর ওয়াকফ বোর্ডের সদস্যপদ ছিনিয়ে নিতেও প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। একবছর আগের সেই টালমাটাল পরিস্থিতির সময় – প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ইমামের গাড়ি থেকে লালবাতি খুলে নেওয়া হয়, পরে টিপু সুলতান মসজিদ থেকে যাতে তিনি সরে যান সেই জন্য তাঁর বাড়িতে গিয়ে দরবার পর্যন্ত করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মনকি তিনি নিজেই বরকতি সাহেবকে মসজিদ থেকে বার করে আনেন। অন্যদিকে বরকতি সাহেবকে মসজিদ থেকে সরিয়ে দিতে মসজিদের সামনে সভা করেন আরেক দাপুটে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ফলে সংশ্লিষ্ট সকলেই মনে করছিলেন বরকতি সাহেবের ওয়াকফ বোর্ডের সদস্যপদ যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

কিন্তু বছর ঘুরতে চললেও, এই নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয় নি নবান্ন থেকে। উল্টে, বরকতি সাহেবের দাবি, ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য থেকে কেউ আমাকে সরে যেতে বলেননি। আমি এমন কোনও কাজ করিনি যে, আমাকে বোর্ড থেকে সরে যেতে হবে। এমনকি সেই সময় তাঁকে সরাতে অতি-তৎপর দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এই প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কিন্তু, ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল গনির স্পষ্ট বক্তব্য, আচরণবিধি অনুযায়ী তাঁকে সরানো যায়, কিন্তু নবান্ন থেকে সবুজ সঙ্কেত না-আসায় আমরা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছি না। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই আছে সংখ্যালঘু দপ্তর – তাই এই সিদ্ধান্তের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। বিশেষ করে কিছুদিন আগেই জল্পনা ছড়ায়, মুকুল রায় তাঁর সংখ্যালঘু সমাজের সঙ্গে সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে রুর রহমান বরকতিকে গেরুয়া শিবিরে নিতে চান। এমনকি বিজেপিতে তাঁর যোগদান স্বয়ং অমিত শাহের হাত ধরেও হতে পারে। আর যদি বাস্তবে সত্যিই তা হয় – তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে যে একাধিপত্য আছে তা ভাঙতে বাধ্য। আর তাই কি – পরিস্থিতির চাপে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে নবান্ন – প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!