এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সংবিধান এবং গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে নেতাদের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে,দাবি কংগ্রেস নেতার

সংবিধান এবং গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে নেতাদের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে,দাবি কংগ্রেস নেতার

মল্লিকার্জুন খার্গে ছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কংগ্রেস তরফের অন্যতম দাবীদার। কংগ্রেসের অন্দরে তাকে মুখ্যমন্ত্রী করা নিয়ে নানান জল্পনা চলছিল। কিন্তু কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ্যে আসার পর দেখা গেলো ভোটযুদ্ধে আসন সংখ্যায় অনেক পিছিয়ে আছে হাতপার্টি। অগত্যা কর্নাটকের লাগাম যাতে গেরুয়া শিবিরের কাছে না যায় তার জন্য জেডিএসের সঙ্গে জোট গড়ার মাস্টারপ্ল্যান করে ফেলে কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্বরা। এবং পরিকল্পনা মাফিক্ বোঝাপড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছেড়ে দেওয়া হয় জেডিএসের জন্য। এবং উপমুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দেওয়া হয় নিজেদের দলের অর্থাৎ কংগ্রেসের ডাঃ জি পরমেশ্বরকে। কর্নাটকের জোট সরকারের ক্ষমতায় আসার পরই মন্ত্রীত্ব গঠন নিয়ে বেশ মতবিরোধ রয়েছে দলেরই অন্দরে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

প্রসঙ্গত,কর্নাটকের বিধানসভার কংগ্রেস-জেডিএস মহাজোট সরকারের  তরফ থেকে কংগ্রেস মন্ত্রীত্ব পেয়েছে ২২ টি মন্ত্রকের এবং জেডিএসের দায়িত্বে গেছে ১২ টি মন্ত্রক। এছাড়াও জানা গেছে যে ২২৪ টি আসনের বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর দলের সদস্য সংখ্যা ৪০ টিরও কম্। এর সঙ্গে নির্বাচনে নিজেদের জায়গা হারিয়েছেন বেশ কিছু প্রার্থী। এমতাবস্থায় বেশকিছু কংগ্রেসের অভিজ্ঞ নেতৃত্ব তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী মন্ত্রকের দায়িত্ব পায়নি। তার জেরেই মন্ত্রী পদ পাওয়ার দাবী নিয়ে এদিন বেঙ্গালুরু টাউনহলের সামনে কংগ্রেস নেতা রামলিঙ্গা বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন।

এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখেই বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খার্গে দলীয় কর্মীদের উদ্দশ্যে আওয়াজ তোলেন। জানান যে, সংবিধান এবং গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য অনেকসময়ই ত্যাগের পথ বেছে নিতে হয়।  এ বিষয়ে নিশ্চয়ই দলের মুখপাত্ররা সকল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। এছাড়া তিনি আরো জানান যে দলের সব ব্যাপারেই নজর রয়েছে শীর্ষনেতৃত্বদের। দলীয় কর্মীদের উচিৎ নেতাদের অনুগত হয়ে থাকা। এবং দল ত্যাগের মানসিকতাকে আমল না দেওয়া। এরপর তিনি জানান যে অনেক নেতারাই নাকি দলের সঙ্গ ছেড়ে অন্য দলের টিকিট কেটেছেন। এই ভুলগুলো অবিলম্বে শুধরে ফেরার পরামর্শ দিলেন তিনি।  এবং জানালেন সামনেই লোকসভা ভোট। কাজেই সেইদিকেই লক্ষ্য রেখে সমস্ত দলীয় কোন্দল ভুলে গিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তাঁর যুক্তি, আগামী লোকসভা ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দলের কর্মীদের কাছে আশা করেন যে তাঁরা দলবদ্ধভাবেই কাজ করবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!