অঙ্ক কষে বঙ্গ রাজনীতির হেভিওয়েট রাজনীতিকের ‘শিষ্য’ দেখিয়ে দিলেন পরাজয় নিশ্চিত রাজ্য June 23, 2018 গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সাড়ে তিন লাখের মার্জিনে তাঁর জয় রাজ্য সহ জাতীয় স্তরেও রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিলো। কিন্তু ২০১৯ সালের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি তাঁর জয়ের ধারা অক্ষুন্ন রাখতে পারবেন বলে মনে করছেন না অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা হুমায়ুন কবীর। আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি দলে যোগদান করার আগে হুমায়ুন কবীর বললেন, ‘আগামী লোকসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরীর পরাজয়ের বড় সম্ভাবনা রয়েছে।” আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে সম্প্রতি অধীর চৌধুরী অনুগত এই কংগ্রেস নেতা হুমায়ুন কবীরের কংগ্রেস দল ত্যাগ করে বিজেপি দলে যোগদানের প্রসঙ্গে জানা গিয়েছিলো। এখনও তিনি বিজেপি দলে যোগদানে ইচ্ছুক অথচ খাতায় কলমে কংগ্রেস দলেরই সদস্য । এই অবস্থানে দাঁড়িয়ে হুমায়ুন কবীর তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত জানিয়ে বললেন, ”২০১৬ সালে ১৪টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস। তার মধ্যে চারজনই এখন তৃণমূল কংগ্রসে। বাকি ১০ জনের মধ্যে পাঁচজনও তৃণমূলে যাবে বলে খবর আছে। বাকি পাঁচজন বিধায়ককে নিয়ে অধীর চৌধুরী নিজের লোকসভা কেন্দ্র মুর্শিদাবাদ ধরে রাখতে পারবেন না বলে আমি মনে করি।” তাঁর মতে এই পাঁচ বিধায়ক হলেন যথাক্রমে,- জঙ্গিপুর লোকসভার অন্তর্গত লালগোলা বিধানসভা কেন্দ্রের আবু হেনা, জঙ্গিপুর লোকসভারই সুতি বিধানসভা কেন্দ্রের হুমায়ুন রেজা, ভরতপুর বিধানসভার কমলেশ চট্টোপাধ্যায়, বেলডাঙার সফিউজ্জামান ও বহরমপুরের মনোজ চক্রবর্তী। বহরমপুরে কংগ্রেস দল ক্রমশ দুর্বল হয়ে গিয়েছে জানালেন তিনি। উল্লেখ্য বহরমপুর পুরবোর্ড তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেছে যা আগে ছিলো কংগ্রেসের গঠিত। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ছটি গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস মনোনয়ন দিতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে হুমায়ুন কবীর বললেন, “আজকের যা পরিস্থিতি তাতে অধীর চৌধুরীর পরাজয়ের সম্ভাবনা যথেষ্ট। আগামী দিনে এই প্রতিকূল পরিস্থিতি উনি কতটা সামলে উঠতে পারবেন সে বিষয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।” শুধু তাই নয় রেজিনগরের প্রাক্তন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এদিন আরও বলেন, ”ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাঁরা প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের দাপটে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। অধীর চৌধুরী চারবারের সংসদ সদস্য, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি ভোট করাতে পারলেন না। এই ক্ষোভ তো প্রার্থীদের রয়েছে। এর প্রভাবও লোকসভায় পড়বে।” এদিকে অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ এক নেতা নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বললেন, ”এটা ঠিকই চার বছরে পরিস্থিতি বদলেছে। তবে এখনও মুর্শিদাবাদের সাধারণ মানুষই অধীর চৌধুরীর ভরসা।” আপনার মতামত জানান -