কাগজপত্র ও আবর্জনা ঢাকতে ব্যবহার করা হয়েছে জাতীয় পতাকা,লজ্জায় মাথা নোয়ালো জলপাইগুড়ি ফার্মাসি কলেজ উত্তরবঙ্গ রাজ্য July 11, 2018 আবর্জনা ঢাকতে ব্যবহার করা হয়েছে দেশের তিরঙ্গা পতাকা! যে পতাকা গনতান্ত্রিক দেশের মান সম্মান নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সোচ্চারে বলছে ভারতবর্ষ স্বাধীন দেশ,সেই পতাকাই আজ ভূলুন্ঠিত! এ অপমান শুধু কোনো অঞ্চল বা কোনো রাজ্যের নয়,গোটা দেশেরই। এই অপমানকর কাজটি আবার হয়েছে একটি শিক্ষাঙ্গনে! জলপাইগুড়ি ফার্মাসি কলেজে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। জেলাসূত্রের খবর থেকে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই কলেজের চেয়ার,টেবিল ও আলমারি সংস্কারের কাজ চলছে। কলেজের বেশকিছু রুম এবং আলমারি থেকেই বেরিয়েছে অপ্রয়োজনীয় বেশকিছু কাগজপত্র এবং আবর্জনা। সেগুলি ঢাকতেও ব্যবহৃত হয়েছে জাতীয় পতাকা। কলেজের এক কর্মী সমীররঞ্জন ঘোষ এই অভিযোগটি স্বীকার করেও করে নিলেন এদিন। যেটা হয়েছে সেটা ঠিক হয়নি বলেই বক্তব্যে জানান তিনি। অন্যদিকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাসুদেব সাহানা ঘটনার দায় অস্বীকার করে পাল্টা দাবীতে জানান যে কেউ চক্রান্ত করেই এ ধরণের গর্হিত অপরাধে কলেজের নাম জুড়েছে। তাঁদের কারোরই এ ধরণের কাজ চোখে পড়েই নি। কলেজ খোলার সময়ও কোনো কর্মীর নজরে আসেনি জাতীয় পতাকা দিয়ে আবর্জনা ঢাকা রয়েছে। কে বা কারা এধরণের কাজ করল তা জানা জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জোর তদন্ত চলছে বলেই জানান তিনি। অন্যদিকে, এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশানের সম্পাদক অভিজিৎ সরকার। মন্তব্যে তিনি জানান যে, জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে ফার্মাসি কলেজে। একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরণে নজির কাম্য নয়। এই ঘটনার তল্লাশি চালানো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা শাসক শিল্পা গৌরিসারিয়ার তরফ থেকে। তিনি জানান যে,কেন এধরণের কাজ করা হল,তা জানতেই SDO-কে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওদিকে এই জাতীয় পতাকা অবমাননার এই বেনজির দৃষ্টান্ত এই শিক্ষা প্রাঙ্গণে সামনে আসায় ছিঃ ছিঃ রব পড়ে যায় গোটা রাজ্যের শিক্ষকসমাজে। রাজ্য রাজনীতিতেও এটা নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে যায়। এমনটাই জানা যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -