এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ঝাঁঝালো বিরোধী আন্দোলন থেকে বাদ স্বয়ং শুভেন্দু, দিলীপের সাথে দূরত্ব নিয়ে বাড়ছে ধন্দ!

ঝাঁঝালো বিরোধী আন্দোলন থেকে বাদ স্বয়ং শুভেন্দু, দিলীপের সাথে দূরত্ব নিয়ে বাড়ছে ধন্দ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনেই রীতিমতো গেরিলা কায়দায় বিক্ষোভ করে শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে তিনি যে একচুল জায়গা তৃণমূল কংগ্রেসকে ছেড়ে দেবেন না, তা অধিবেশনের প্রথম দিনেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক। অর্থাৎ তার নেতৃত্বে বিজেপি যে পরিষদীয় রাজনীতির দিক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে একেবারে তুলোধোনা করে ছাড়বে, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তবে যে শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম প্রধান হিসেবে পরিচিত এবং প্রতি সময় তিনি তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, সেই শুভেন্দুবাবু বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে অনুপস্থিত।

প্রসঙ্গত, সোমবার বিজেপির পক্ষ থেকে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের প্রতিবাদ করে কলকাতা পৌরসভা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে রাজ্য বিজেপির অন্যান্য নেতা এবং পদাধিকারীরা সেই অভিযানের নেতৃত্ব দিলেও, কার্যত অনুপস্থিত থাকতেই দেখা গেল বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যার ফলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে, তাহলে কি এতদিন ধরে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে শুভেন্দুবাবুর দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে যে খবর সামনে এসেছিল, তা সত্যি হতে চলেছে? আর সেই কারণেই দিলীপবাবু বিধানসভার বাইরে রাজপথে বিক্ষোভে থাকলেও, সেখানে কার্যত অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীকে? তাহলে কি বিধানসভার ভেতরে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেবেন? আর বাইরে গোটা বিষয়টি দেখভাল করবেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ?

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, এদিনের কর্মসূচিতে প্রধান নেতৃত্বদানের মধ্যে দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি অন্যতম নাম হিসেবে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এদিন কলকাতাতে উপস্থিত থাকতেই দেখা যায়নি তাকে। একাংশ বলছেন, কিছুদিন আগেই বিজেপির সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর সেখানেই প্রত্যেক বিধায়ককে কড়া বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলের বাইরে কেউ নয়। তাই যে যেখানে যাচ্ছেন, দলকে জানিয়েই তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর দিলীপ ঘোষের এই বার্তার পেছনে আদতে শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা দেওয়ার বিষয়টি লুকিয়ে রয়েছে বলেই দাবি করতে শুরু করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর রাজভবন থেকে শুরু করে দিল্লি সফর করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তার সম্পর্কে কিছুই জানতে পারছিলেন না দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাহলে কি বিজেপি বিধায়কদের বার্তা দিতে গিয়ে কার্যত শুভেন্দু অধিকারী নীতিশিক্ষা দিয়ে দলের প্রতি আনুগত্য থাকার বার্তাই দিয়েছিলেন দিলীপবাবু, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে সেই দিলীপবাবুর নেতৃত্বে কলকাতা পৌরসভা অভিযান হলেও, সেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল বিজেপির বিরোধী দলনেতাকে। একাংশ বলছেন, এর সঙ্গে জল্পনা থাকার কোনো কারণ নেই। কেননা শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীর পাশে রয়েছেন। আর সেই কারণেই তিনি এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারেননি। কিন্তু দলের এত বড় কর্মসূচি, যেখানে শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দেওয়া অনেকটাই সহজ হবে, সেখানে বিধানসভার ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা বিরোধী দলনেতা কেন অনুপস্থিত! এখন এটাই বিজেপির নেতা-কর্মীদের কাছে লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এর ফলে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দূরত্ব দিনকে দিন বাড়ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করতে রাজ্য সভাপতি পদের পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা পদকে গুরুত্ব দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী দূরত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছে। তবে কলকাতা পৌরসভা অভিযানকে কেন্দ্র করে বিজেপির সমস্ত স্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিলীপ ঘোষ সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকলেও, বিরোধী দলনেতা অনুপস্থিত। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!