এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > সাবাস, এই না হলে সিবিআই! তদন্ত হাতে নিতেই শাহাজাহান ঘনিষ্ঠ মূল পান্ডা গ্রেপ্তার!

সাবাস, এই না হলে সিবিআই! তদন্ত হাতে নিতেই শাহাজাহান ঘনিষ্ঠ মূল পান্ডা গ্রেপ্তার!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-অনেক পুলিশকে দিয়ে রক্ষা করার কাজ হয়েছে। রাজ্য পুলিশ যে শাহজাহান এবং তার অনুগামীদের রক্ষা করার জন্যই এই কাজ করছে, তা খুব ভালো করেই ধরতে পেরেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই কারণেই পুলিশ বা সিআইডি দিয়ে নয়, বরঞ্চ সিবিআইকে দিয়েই গোটা ঘটনার তদন্ত করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের পক্ষ থেকে। আর তারপরেই হাত খুলে খেলতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শাহজাহানের পেট থেকে যেমন তারা আসল কথা বের করার চেষ্টা করছে, ঠিক তেমনই এর পেছনে আরও যারা যারা পান্ডা রয়েছে, যারা তৃণমূলের নেতা হয়ে এলাকায় মানুষজনের ওপর অত্যাচার করেছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল, এবার তাদের দিকেও হাত বাড়াতে শুরু করেছে। এবার এমন একটি পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিলো, যার ফলে স্পষ্ট হয়ে গেল এবং প্রমাণিত হয়ে গেল যে, তদন্ত যদি ঠিক পথে পরিচালনা করতে চায় কোনো নির্দিষ্ট সংস্থা, তাহলে সেই তদন্তে দেরি হয় না। প্রমাণ হয়ে গেল যে, এই রাজ্যের পুলিশ সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। তারা আসল দোষীদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। তাই সিবিআই শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর সন্দেশখালি কাণ্ডে আরও এক বড় পদক্ষেপ নিয়ে প্রমাণ করে দিল, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। কিন্তু কি সেই পদক্ষেপ?

প্রসঙ্গত, শুধু শাহজাহানকে তো গ্রেফতার করলে হবে না। তার পাশাপাশি আরও অনেক মাথা রয়েছে, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাদেরকেও তো শাস্তি দিতে হবে। এই দাবি কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই উঠছিল। আর সেই ঘটনার তদন্ত করে শাহজাহানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত জিয়ারুদ্দিন মোল্লা, যার নাম এতদিন শোনা গিয়েছিল, অবশেষে সেই জিয়ারুদ্দিন মোল্লাকেও গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি আরও দুইজনকে তারা এদিন জেরার পর গ্রেফতার করেছে। যার ফলে একাংশ বলছেন, সাবাস, এই না হলে সিবিআই। তারা তো আসল কাজটা করে দেখিয়ে দিল। এতদিন কেন পুলিশ এই কাজটা করতে পারেনি? তার মানে পুলিশের মধ্যে গাফিলতি ছিল! তারা তদন্ত নিয়ে ঢিলেঢালা মনোভাব তৈরি করে রেখেছিল। যাতে আসল মাথাটা ধরা না পারে। আর এই জিয়ারুদ্দিন মোল্লা থেকে শুরু করে সবাই তো তৃণমূলের সম্পদ বলে পরিচিত ছিল। ঘটনা ঘটার দিন জিয়ারুদ্দিন মোল্লা শেখ শাহজাহানের বাড়ির সামনে ছিলেন, এতদিন বিরোধীরাও তাকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছিল। অবশেষে সকলের প্রত্যাশা পূরণ করে সেই জিয়ারুদ্দিন মোল্লা সহ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই তৃণমূলের মাথাব্যথা বাড়িয়ে দিলো বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আর যাই হোক, কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে কোনো চেনা লোক বলে কিছু নেই। তাদের কাছে যে দোষী, সেই শাস্তি পাবে। আর এটা যদি রাজ্য পুলিশ করত, তাহলে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠত না‌। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তদন্ত দিয়েছে আদালত একটাই কারণে, কারণ তারা নিরপেক্ষ তদন্ত করে। তবে এই পরিস্থিতিতে জিয়ারুদ্দিন মোল্লাা সহ অন্যান্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তা না হলে তদন্তকে কোনোমতেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হত না। কারণ যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের একটা শাস্তি পাওয়া প্রয়োজন‌। তাদের সবক সেখানে প্রয়োজন। তাই শাহজাহানকে যেমন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, ঠিক তেমনই ছোট ছোট মাথাদের ধরে তারা এবার ফাইনাল টাচ দিতে চলেছে। তবে গত 5 জানুয়ারি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ওপরতলা থেকে কেউ এই কাজ করানোর ক্ষেত্রে শাহজাহান এবং তার বাহিনীদের নির্দেশ দিয়েছিল কিনা, এবার সেই রহস্যও উন্মোচন করা দরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। আর তাহলে অনেক রাঘববোয়াল ধরা পড়ে যেতে পারেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!