যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতিকে পুলিশ হেফাজতে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গ রাজ্য September 28, 2018 রাজ্য রাজনীতির শিরোনাম থেকে কিছুতেই সরছে না উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট। দুই ছাত্রের মৃত্যুতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে আগেই রাজ্য সরকারকে চেপে ধরেছিল বিজেপি। এবার সেই পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফের এক নতুন অভিযোগ আনল বঙ্গের গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, ইসলামপুরের এই দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় গত বুধবার বিজেপির বাংলা বনধের দিন সেই ইসলামপুরেই ছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ সরকার। সেখানেই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আর এরপরেই গতকাল এই দেবজিৎ সরকার সহ বিজেপির 79 জনকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে সরকারপক্ষের আইনজীবি জনার্দন প্রসাদ সিং সেই দেবজিৎ সরকারকে পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন করলেও বিচারপতি মহুয়া রায় বসু তা খারিজ করে সেই বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতিকে সাতদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আদালত থেকে বের করার সময় দেবজিৎ সরকারকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, আপনাকে কি মারধর করা হয়েছে? জবাবে তিনি বলেন, ” হ্যাঁ। মারধর করা হয়েছে। রাত ৯ টার পর থেকে ফেলে মেরেছে। পিঠে, ঘাড়ে মেরেছে। পুলিশ আমাদের তুলে নিয়ে এসেছে মেরেছে। বিনা প্ররোচনায় মেরেছে। আমাদের খেতে দেয়নি। অন্য আসামীদের বাড়ি থেকে আনা খাবার ভাগ করে খেয়েছি। আজ আদালতে আসার পর আমাদের রুটি ও তরকারী খেতে দিয়েছে। তাও বিচারককে বলার পর। আমাদের অনেককেই মেরেছে। কমব্যাট ফোর্সের একজন লোক আমাদের মেরেছে।” এদিকে এদিনই পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরোক অভিযোগ জানান সেই দেবজিৎ সরকারের আইনজীবি তপন মন্ডল। তিনি বলেন, ” পুলিশ যুব নেতাকে মারধর করেছে। তাই বিচারক জেলেই তার চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন।” এদিকে রাজ্য বিজেপি যূব মোর্চার সভাপতির ওপরে এহেন পুলিশি হামলার ঘটনায় আসরে নেমেছে বিজেপি। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে সমস্ত ঘটনা অভিযোগ আকারে ইমেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জানিয়েছেন বিজেপি যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মধুকেশ্বর দেশাই। পাশাপাশি দলীয় নেতার ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ডালখোলার কাছে বেলা 1 টা থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “পুরো বিষয়টি কিরেন রিজিজুকে জানানোর পাশাপাশি রাজ্যপালকে জানিয়েছে দল।” অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকে এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মার সাথে সায়ন্তন বসু যোগাযোগ করলেও নির্যাতনের ঘটনার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন অনুজ শর্মা। এদিকে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি যখন জেলে রয়েছে ঠিক তখনই বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর অসুস্থতার কারন দেখিয়ে জামিনের আবেদন করা হলে তার আগাম জামিন মঞ্জুর করে রায়গঞ্জ আদালত। সব মিলিয়ে এক নেতা জেল থেকে বেরোলেও অন্য নেতার প্রতি পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগে ফের শাসকদলের বিরুদ্ধে নিজেদের রাজনৈতিক অস্ত্রে শান দিতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। আপনার মতামত জানান -