শেষপর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য লিখলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! কলকাতা রাজ্য September 3, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শেষমেশ ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েই গেল। এতদিন কোয়েস চলে যাওয়ার পর নতুন ইনভেস্টরদের আশায় হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন তারা। এরই মধ্যে শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে প্রায় পাকা কথা হয়েও গিয়েছিল। তবে সমস্যা ছিল অন্য জায়গায়। এই ইনভেস্টর চেয়েছিল ফুটবলের সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেট-সহ ক্লাবের সব স্বত্ত্বও নিজের করে নিয়ে নিতে। ফলে সিএবিতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিনিধি হিসেবে ‘শ্রী সিমেন্টের’ কাউকেই থাকতে হবে, সেখানে ক্লাবের কর্তারা থাকতে পারবেন না। অর্থাৎ শ্রী সিমেন্ট চাইছিল চুক্তির পর ক্লাবের যাবতীয় কার্যকলাপ সব তারাই নিয়ন্ত্রণ করবে। তবে শেষমেশ তারা ইনভেস্টর পেয়ে যায়। চুক্তি পাকা হয়। তবে গোল বাঁধে অন্য জায়গায়। ইতিমধ্যেই আইএসএলে খেলার সময়সামী পার হয়ে গিয়েছিল। কারণ ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তারা তখন বসেছিলেন ভাল ইনভেস্টর পাওয়ার আশায়। আর সেই সমস্যা মেটাতে এবার মাঠে নামেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এর পাশাপাশি বিসিসিআই কর্তা সৌরভ গাঙ্গুলিরও অবদান রয়েছে। কারণ সবশেষে সৌরভ গাঙ্গুলির কথাতেই নাকি ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএলে নিতে রাজি হয়েছে FSDL। ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বললে ঠিক এই রকম দাঁড়ায় যে, এতদিন ঠিক ছিল ইনভেস্টর এলে তবেই ISL খেলা হবে। কারণ FSDL সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ভাল সম্পর্ক ছিল না। তারা শুরু থেকেই বলে এসেছিলন যে ১৫ কোটি টাকা না দিলে ইস্টবেঙ্গলের নাম নথিভুক্ত করা যাবে না। অন্যদিকে ওই বৃহৎ অঙ্কের অর্থ ক্লাব দিতে চায়নি। এই নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা বেশ কয়েকজন ইনভেস্টরের সঙ্গে কথা বলেন। তবে কোনো সিদ্ধান্তে আসার আগেই এটিকে আর মোহনবাগান এক হয়ে আইএসএল খেলার কথা জানায়। ফলে যথারীতি চাপ বাড়ে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শেষপর্যন্ত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে নাকি বিষয়টি দেখতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই কথা বলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। তিনি মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর ছেলে আকাশ আম্বানির সঙ্গে ফোনে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলায় অংশগ্রহণের বিষয় নিয়ে কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে। পরে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে নীতা আম্বানির সঙ্গে এবং এফএসডিএল কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গেও নাকি ফের কথা হয় এফএসডিএল কর্তাদের। আর এরপরই নাকি পরিস্থিতি ঠিক হয়। তবে সৌরভ গাঙ্গুলী যদিও এগুলি স্বীকার করেননি। তবুও তাঁর কথায়, আইএসএলের জনপ্রিয়তার জন্য ইস্টবেঙ্গলের প্রয়োজন আছে। তবে ভবিষ্যতে ক্লাবের তরফ থেকে এ ধরনের জটিলতা আর সৃষ্টি হবে না বলেই আশ্বস্ত করেন তিনি। এছাড়া দরকার হলে তিনি নিজে গোটা বিষয়টি দেখবেন বলেও জানান। তাঁর কথায় শুধু ওদের দিকনির্দেশ করতেই তিনি এই কাজ করেছেন। তবে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সৌরভ গাঙ্গুলী, সকলকেই মোহনবাগান সচিব থেকে শুরু করে সকলে সাধুবাদ জানিয়েছেন। আপনার মতামত জানান -