মাতলামির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েই হামলার শিকার হতে হল এক তৃণমূল কাউন্সিলরকে। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ পুরসভায় এলাকায়। এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন রায়গঞ্জ পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সাধন বর্মন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলেই জানিয়েছেন রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। গোট ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

অভিযোগে সাধন বাবু জানিয়েছেন,ঘটনার দিন রাতে পাড়ার পিকনিকে এক মদ্যপ যুবক ঢুকে অযথাই গন্ডোগোল শুরু করে। চা খাওয়া দাবী করে সে। তাকে খেতে দেওয়া হবে বললেও সে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এরপর তাকে থামতে বলা হলে সাধন বাবুর উপরই চড়াও হয় সে। পরদিন সকাল ১০ টা নাগাদ ওই যুবকেরই একজন আত্মীয় সাধন বাবুর অনুপস্থিতিতে তাঁর বাড়ি এসে হামলা করে। ভাঙচুর চালানো হয়। দামী অ্যাকোয়ারিয়াম ভেঙে ফেলা হয়। শুধু তাই নয়,সঙ্গে দু রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। এমনকি, ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় সাধন বাবুর বাচ্চা মেয়েকে। গোটা ঘটনায় সাধনবাবুর পরিবারের লোকেরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এরপরই সাধন বর্মন রায়গঞ্জ থানায় ছোটেন এফআইআর দায়ের করতে। পুলিশও অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে সক্রিয় হয়েছে বলো জানা গিয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই ঘটনার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক যোগসূত্র আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কারণ সম্প্রতি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে একাধিক হামলার খবর প্রকাশ্যে আসছে। এর জেরে প্রাণও যাচ্ছে তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের। বোমাবাজির খবরও নতুন নয়। তবে বিরোধীরাও সন্দেহের আওতা থেকে দূরে নয়। সমস্ত দিক থেকে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানান,’অভিযোগ পেয়েছি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি পুলিশ কনস্টেবল। তদন্ত হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তার ভাই পলাতক রয়েছে।’ এদিকে,গোটা ঘটনাকে ‘নিন্দনীয়’ বলে ব্যাখ্যা করলেন রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের সন্দীপ বিশ্বাস।