রিষড়াতে বন্ধ হয়ে গেল আরেকটি জুট মিল উৎসবের মরশুমে চোখে অন্ধকার হাজার হাজার শ্রমিকের রাজ্য October 29, 2018 কৃত্রিম ফাইবারের যুগে ক্রমশই যেন প্রতিযোগিতায় পিছু হাঁটতে হচ্ছে পাটজাত দ্রব্যকে। একের পর এক জুট মিল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। উৎসবের মরসুমে আবার ও কাঁচামালের অভাবে শনিবার ভোরে রিষড়ার হেস্টিংস জুটমিলে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ। এদিকে উৎসবের মাঝে এভাবে কাজ চলে যাওয়ায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। মালিকপক্ষের এই সিদ্ধান্তে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক এদিন কর্মহীন হয়ে গেলেন। সুরেশ শর্মা নামে এক বিক্ষুব্ধ শ্রমিক বলেন,”দুর্গা পুজোর আগে কাঁচামালের অভাব ও উৎসবের আনন্দের জন্য কয়েক দিন কাজ বন্ধ রাখা হবে বলে শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেন মালিকপক্ষ। সে আলোচনা মোতাবেক ১৪ তারিখে কাজ বন্ধ হয়। কথা ছিল শনিবার মিল খুলবে। কিন্তু এদিন সকালের শিফটে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হয়ে দেখেন মালিকপক্ষ নোটিশ দিয়েছে ২ নভেম্বর কাজ শুরু হবে। আর তার ফলে এ বিক্ষোভ শুরু হয়।” শ্রমিকরা মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, হুগলি জেলায় এই মালিকের মোট তিনটে জুট মিল রয়েছে। এখনো পর্যন্ত অন্যান্যদের জুটমিলগুলো খুব ভালভাবে চললেও শুধুমাত্র এই মালিকের জুটমিলগুলোয় চলছে না।যার মধ্যে চন্দননগরের কম গোন্দলপাড়া জুটমিল প্রায় পাঁচ মাস ও শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুটমিল তিন মাস ধরে বন্ধ পড়ে রয়েছে। প্রত্যেকটি মিল বন্ধের ক্ষেত্রে মালিকপক্ষের একটাই অজুহাত ,কাঁচামালের অভাব। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অন্যদিকে শ্রমিকদের অভিযোগ, আসলে মালিকপক্ষ মিলগুলো চালাতে চাইছে না আর তাই মিথ্যে অজুহাত দিয়ে সব মিল বন্ধ করে দিচ্ছে।আমরা চাই সরকারি শ্রম দপ্তর মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দিলে খোলার ব্যবস্থা করুক। উৎসবের মরসুমে এইভাবে মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কার্যত চোখে সর্ষেফুল দেখছে শ্রমিকরা।তাই তাদের জুটমিল খোলার ব্যাপারে যে দাবি একেবারে অপ্রাসঙ্গিক নয় বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। আপনার মতামত জানান -