এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি উঠলো বিজেপির অন্দরে, বিজেপির সংসদের ইচ্ছাতে বিপাকে মোদী শাহ

মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি উঠলো বিজেপির অন্দরে, বিজেপির সংসদের ইচ্ছাতে বিপাকে মোদী শাহ


বিজেপির অস্বস্তিকে বাড়িয়ে কট্টর বিজেপি বিরোধী নেত্রীকেই প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখার দাবী করে বসলেন বিজেপিরই এক সাংসদ। এর আগেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন অনেকে। তৃণমূলের অন্দরে এই দাবী তো রয়েইছে,তাছাড়া প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায়ও বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন।

ভারত খ্যাত আইনজীবী রাম জেঠমালানিও ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতা ব্যানার্জীকে দেখার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন সম্প্রতি জাতীয় কংগ্রেস সুপ্রিমো রাহুল গান্ধীও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। এবার এঁদের তালিকায় নাম নথিভুক্ত করলেন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা।

যদিও বিজেপি বিদ্রোহী হিসাবেই তিনি এই মুহূর্তে বেশি পরিচিত। তবুও বিজেপি দলেই তাঁর নাম রয়েছে আপাতত। বিজেপির শক্তিঘাঁটি অসমের গুয়াহাটির একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে বক্তব্যে দাবী করে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখার। রাম জেঠমালিনির সুরেই আওয়াজ তুলে বললেন,”মমতাকে চাই প্রধানমন্ত্রী পদে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া দিল্লির রাজনীতিতে আবার জোয়ার আসবে না। দেশকে সঠিক পথে চালনা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরকার।”

যুক্তিতে বাংলার নেত্রীকে ‘আয়রন লেডি’ সম্বোধন করে বললেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনে উত্থান চূড়ান্ত সংগ্রাম এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে হয়েছে। তিনি প্রকৃতপক্ষে একজন সর্বজনগ্রাহ্য জননেত্রী। তাই দিল্লির মসনদে বসার বসার সবথেকে যোগ্য প্রার্থী তিনি।

একথা বলার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে তিনি কতোটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুনমুগ্ধ সেটাও ব্যাখ্যা করলেন বৈঠকে। বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে বললেন,জনআবেগ সামলানোর সঙ্গে সঙ্গে অসামান্য নেতৃত্বসুলভ ক্ষমতা তাঁর। সাংগঠনিক দক্ষতাও অসামান্য। ১৯’ এর লোকসভা নির্বাচনে নেত্রীর হাট ধরেই ‘সুইপিং এফেক্ট’ আসবে বলেই বিজেপি বিদ্রোহী এই সাংসদের বিশ্বাস।

প্রসঙ্গত,সম্প্রতি একটি সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয় গুয়াহাটিতে। সেখানে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ সাংসদ বামপন্থী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহাও। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক ও উন্নয়নমুখী সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় তাঁদের। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে তাকে ভাবী প্রধানমন্ত্রী পদে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সিনহা।

বিজেপিতে ব্রাত্য এই সাংসদের এভাবে প্রকাশ্যে বিজেপি বিরোধী নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখার দাবী করাতে তুমুল শোরগোল পড়ে রাজনৈতিকমহলে। মোদী-শাহের চিন্তাতো বাড়িয়েছেনই,তাছাড়া বিজেপি বিরোধী যে জোট গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে তার অনেক নেতারই কপালে ভাঁজ পড়ল শত্রুঘ্নর কথায়। শত্রুঘ্ন সিনহা আসলে স্পষ্টভাবে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান বুঝিয়ে দিলেন বিজেপিকে। এখন এই প্রেক্ষিতে তাকে আর দলে রাখা ঠিক হবে কিনা তা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে রয়েছে গেরুয়া শিবিরে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আগেও বহুবার বিজেপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে তাকে। মোদী সরকারের গাফিলতি,নানান সিদ্ধান্তের ভুল ত্রুটিগুলো বিভিন্ন জনসভা এবং বৈঠকে খোলাখুলিভাবে সামনে রেখেছেন তিনি। তার জেরে বর্তমানে তিনি বিজেপির চোখের কাঁটায় পরিনত হয়েছে। তবে এদিন বিজেপি বিরোধী জোটের অন্যতম প্রধান মুখকে প্রধানমন্ত্রী পদের যোগ্য দাবীদার বলে পদ্মশিবিরের নেতৃত্বদের উদ্বেগকে বাড়ালেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!