সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মমতার সেনাপতিই চিকিৎসক মহলের সর্বেসর্বা হলেন জাতীয় রাজ্য November 3, 2018 দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১৪ বছর পর তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি ডাঃ শান্তনু সেন ছিনিয়ে নিলেন দেশের প্রায় ৪ লক্ষ চিকিৎসকের সর্ববৃহৎ ডাক্তার সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ’র) সর্বভারতীয় সভাপতির পদটি। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি মনোভাবাপন্ন দুই প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে শান্তনু সেনের লড়াই নিয়ে বাংলা সহ গোটা দেশ জুড়েই জল্পনা তুঙ্গে ছিল চিকিৎসকমহলে। অনেকেরই দাবী,এবারের জাতীয় আইএমএ’র নির্বাচন ডাক্তারদের নিজস্ব ইঁদুর দৌড়ে সীমাবদ্ধ থাকেনি। তৃণমূল বনাম বিজেপির ঠান্ডা লড়াই-এর নামান্তর হয়ে উঠেছিল সেটি। নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন শান্তনু বাবু বহুবার তাঁর ঘনিষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বী ডাঃ হরিশ গুপ্তার বিরুদ্ধে প্রভাবশালী বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দিয়ে চিকিৎসকদের শাসানি দেওয়া এবং প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলেছিলেন। অন্যদিকে, হরিশ গুপ্তাও পিছিয়ে থাকেননি। তিনিও এইসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে সংবাদমাধ্যমে পাল্টা অভিযোগ করেন,উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই নির্বাচনকে সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক লড়াইয়ে পরিণত করেছেন শান্তনু বাবু নিজেই। উল্লেখ্য,শান্তনু বাবুর জন্য নবম বার কোনো বাঙালি চিকিৎসক সর্ববৃহৎ এই ডাক্তার সংগঠন আইএমএ’র সর্বভারতীয় সভাপতি হলেন। মহান চিকিৎসক ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় ছিলেন আইএমএ’র প্রথম জাতীয় সভাপতি। এরপর ওই স্থানটি পান কিংবদন্তি চিকিৎসক নীলরতন সরকার। এরপর বর্তমান তৃণমূল বিধায়জ ডাঃ সুদীপ্ত রায় আইএমএ’-র শীর্ষপদে আসেন। তারপর দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রতিক্ষার পর ফের শান্তনু বাবুর হাত ধরে বাংলার গরিমা ফিরে এল। চলতি বছরের ২৮ ডিসেম্বর শান্তনু বাবু আইএমএ’র সর্বভারতীয় সভাপতির সভাপতি পদটি গ্রহন করবেন বলেই জানা গিয়েছে। আইএমএ’ সূত্রের খবর,সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠনের এই নির্বাচনে ২ হাজার ৯০২ জন ভোটারদের মধ্যে ২ হাজার ৩৬৫ জন সর্বভারতীয় সভাপতি পদের জন্য ভোট দান করেন। ১ হাজার ৮৩২টি ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছেন শান্তনু বাবু। শুধু ডাঃ সেনই নন,এবারের ভোটে শান্তনুবাবুর প্যানেলের সবক’জন প্রার্থীই জয়যুক্ত হয়েছেন। বাংলা থেকে আরেক সর্বভারতীয় সভাপতি পদপ্রার্থী ডাঃ রামদয়াল দুবে পেয়েছেন ১২০টি ভোট। শান্তনু বাবুর সঙ্গে যার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছিল সেই হরিশ গুপ্তা পেয়েছেন ৩৭৭ টি ভোট। এদিন রাত ১২ টার পরই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতেই জয়জয়কার তৃণমূলের। তবে এবারের ভোটের আগেই তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব প্রত্যক্ষভাবে সামনে আসায় নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছিল প্রশাসন। জয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে আইএমএ-র রাজ্য সম্পাদক ডাঃ শান্তনু সেন নিজের উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করেছেন। এই জয়কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় বলেই ব্যাখ্যা করে আপামর রাজ্যবাসী এবং চিকিৎসক সমাজকে উৎসর্গ করলেন তিনি। প্রতিদ্বন্দ্বী হরিশ গুপ্তাও শান্তনু বাবুকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন, তবে অভি্যোগে এটাও জানিয়েছেন নির্বাচনের নামে যথেষ্ট রিগিং হয়েছে। গুজরাতে ২৮৬ জন ভোটারের মধ্যে ২৮৪ জন ভোট দিয়েছেন বলে জানান তিনি। এতো বেশি পোলিং সাধারণত হয় না বলেই দাবী তাঁর। শান্তনু সেন জিতলেও চিকিৎসক সংগঠনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই না থামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে শান্তনু বাবুর আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী ডাঃ দুবে ফোন না তোলায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তবে বিরোধীরা যতোই সমালোচনা করুক না কেন,তৃণমূলের হাত ধরে দীর্ঘ ১৪ বছর পর যে সাফল্য এল বাংলায় তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। স্বাভাবিকভাবেই এই প্রাপ্তি লোকসভা ভোটের জয়ের পথে আরো একধাপ তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল। আপনার মতামত জানান -