লোকসভায় বাংলায় বিজেপির ‘টার্গেট’ ২২ থেকে বেড়ে ২৮ জাতীয় রাজ্য November 7, 2018 আগত লোকসভা নির্বাচনে বাংলাকে পাখিরচোখ করে এগোতে চায় গেরুয়া শিবির। রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিজেপি এখন নিজেদের আসন বাড়ানো মনোনিবেশ করেছে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন আর এখন থেকেই তার দামামা বেজে গেছে। এই লোকসভা নির্বাচনে আরো বড়োসড়ো লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা। বঙ্গ বিজেপি এবার আগের চেয়ে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে ২২ টি আসনের কথা শোনা গেলেও এটটু ভালোভাবে কান পাতলেই বিজেপির অন্দরে ২৮ টি আসনের কথা শোনা যাচ্ছে । চার বছরে রাজ্যে বিজেপির শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।সেই জায়গা থেকেই দিলীপ ঘোষ রাহুল সিনহা আরো বড়সরো লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এখন সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এ রাজ্যে এক তৃতীয়াংশ মানুষ সংখ্যালঘু। আর ভোট বাক্সে তাদের ভোট পেতে হলে বিজেপি হিন্দুত্ব নীতি কিছুটা শিথিল করতে হবে। রাজ্যে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সেয়ানে-সেয়ানে লড়াই করতে হলে অনেক বেশি সংখ্যায় সংখ্যালঘু প্রার্থী দিতে হবে গেরুয়া শিবিরকে। এবছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের জয় ঘোষিত হলেও দ্বিতীয় শক্তিশালী দল হিসেবে বিজেপি উঠে এসেছে। এমনকি অনেক পঞ্চায়েত বিজেপি রা দখল করেছে। সেই সব আসনের মধ্যে অনেক মুসলিম পার্টি ও রয়েছে।আর এই রনকৌশল কে মাথায় রেখেই লোকসভা ভোটের প্রার্থী নির্বাচন করতে জোর দিতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,২০১৪ সালেরলোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৪২ টি আসনের মধ্যে মাত্র দুটিতে সংখ্যালঘু প্রার্থী দেয় বিজেপি। তারপর গত চার বছরে এ রাজ্যে বিজেপির প্রভাব অনেকটাই বেড়েছে। সিপিএম ও কংগ্রেস কে পিছনে ফেলে তৃণমূলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এখন নরেন্দ্র মোদির দল। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন,”দল ভাবছে মুসলমান প্রার্থীদের বেশি করে টিকিট দিতে হবে। যদিও বিজেপি ধর্ম দেখে টিকিট দেয় না। কিন্তু সংখ্যালঘু সমাজের অনেকেই বিজেপির প্রতীক এ লোড়তে চাইছেন তাই তাদের টিকিট দেওয়া হবে।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে দলনেতার সঙ্গে একই সুরে সুর মিলিয়েছেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রধান আলী হোসেন। তাঁর কথায়,”বাংলায় মুসলমানরা ভোটের নির্ণায়ক ফ্যাক্টর। তাই কোনভাবেই তাদের অবহেলা করা যাবেনা।”এমতাবস্থায় লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রণ কৌশল অবলম্বন করে এখন তাই দেখার। আপনার মতামত জানান -