এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বাঁকুড়াকে শিল্পে মুড়ে দিতে একগুচ্ছ ঘোষণার পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাঁকুড়াকে শিল্পে মুড়ে দিতে একগুচ্ছ ঘোষণার পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


ভোটের মুখে বাঁকুড়া প্রবাসীর জন্য বড়সড় সুখবর আনলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গেছে বুধবার বাঁকুড়া সফরে এসে জেলার দু’টি শিল্প হাব সম্পর্কে ঘোষণা করবেন তিনি। প্রশাসনিক সূত্রে বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস জানিয়েছেন, গঙ্গাজলঘাটি ও রাইপুর ব্লক এলাকায় ওই দু’টি হাব গড়ে উঠবে।

এদিন জেলাশাসক বলেন, “রাইপুরের বাগডিহা মৌজায় ১০একর এবং গঙ্গাজলঘাটির দেউলি এলাকায় ৪২একর জায়গা নির্বাচিত হয়েছে। ওই দুই জায়গায় শিল্প হাব গড়ে উঠবে। মাস দুয়েক আগে বাঁকুড়া রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠিত শিল্প সম্মেলনে(সিনার্জি) ওই হাবের প্রস্তাব উঠে আসে। জেলা প্রশাসনের তরফে ওই প্রস্তাব ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরে পাঠানো হয়। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট দপ্তর তা মঞ্জুর করেছে। ২০১১সালের পর জেলায় নতুন কোনও শিল্পতালুক গড়ে উঠতে চলেছে। শালতোড়ার নেতাজি সেন্টিনারি কলেজ মাঠের সরকারি সভা মঞ্চ থেকে বিষয়টি ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাঁকুড়ার বড়জোড়া, মেজিয়া, বিষ্ণুপুর ব্লক পপি এলাকায় মূলত বাম আমলে শিল্প গড়ে ওঠে। তৃণমূল জমানায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গুটিকয় কলকারাখানা হলেও লালমাটির জেলায় সেই ভাবে শিল্পের বিকাশ ঘটেনি বললেই চলে। পরপর দু’বার জেলায় শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করলেও প্রথম শিল্প সম্মেলনে উদ্যোগপতিদের সাড়া পাওয়া যায়নি। সম্মেলন মঞ্চে শিল্পপতিদের তরফে নানা রকম শিল্প-কারখানার প্রস্তাব এলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়িত হয়নি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় শিল্প সম্মেলনেও বহু রকমের বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। উল্লেখ্য,বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগম এজেলায় হাব তৈরির জন্য জমি খুঁজতে শুরু করে।

প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ার উত্তর অংশে শিল্প গড়ে উঠলেও জঙ্গলমহল বরাবর বঞ্চিত ছিল। ফলে এবার নিগমের তরফে সারেঙ্গা বা রাইপুরের মতো জঙ্গলমহল এলাকার ব্লকে জায়গা চাওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে জেলা শিল্প কেন্দ্র জায়গা খুঁজে পেতে নাজেহাল হলেও পরে জেলা প্রশাসন বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর সরকারি খাস জায়গার খোঁজ শুরু করে। শিল্প হাব গড়ে তোলার জন্য রাইপুরের বাগডিহা মৌজায় ১০একর জায়গার সন্ধান পায় তারা। পাশাপাশি দেউলিতেও ভূমি দপ্তর ৪২একর খাস জমি চিহ্নিত করে।

এদিন দুপুরেই রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, ওন্দার বিধায়ক অরূপ খাঁ, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, প্রাক্তন সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী, জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস, পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও প্রমুখ শালতোড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সভাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে তাঁরা এই বিষয়ে একটি প্রস্তুতি বৈঠকও করেন। সেখানেই বিধায়ক তথা বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এদিন আমরা শালতোড়া যাই। সেখানে একটি বৈঠক হয়।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

 

পাশাপাশি জেলার পুলিস সুপার বলেন, “সুষ্ঠুভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সফর সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”এখন দেখার মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের পর শিল্পের আলোকে কতটা আলোকিত হয় তাঁর স্বপ্নের জঙ্গলমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!