এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রুখে দাঁড়াচ্ছেন ভোটকর্মীরা বলেই কি বদলির ‘প্রচ্ছন্ন হুমকি’ হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের?

রুখে দাঁড়াচ্ছেন ভোটকর্মীরা বলেই কি বদলির ‘প্রচ্ছন্ন হুমকি’ হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের?

বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই বাংলায় নিরপেক্ষ ভোট করা ও ভোটের সময় ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের দাবিতে মুখর হন সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকরা। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দেয় – বাংলার অবস্থা খুবই শান্তিপূর্ণ, আর তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নয় ভোট হবে রাজ্য পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়েই। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন শিক্ষক রাজকুমার রায়ের হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়া ও পরে রেললাইনে তাঁর ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া নিয়ে তীব্র শোরগোল পরে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেন, এটা একটা দুর্ঘটনা! রাজকুমার রায় নিজেই বাইরে বেরিয়ে রেললাইনে চলে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু, বিরোধীদের তো বটেই, রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের একাংশের স্পষ্ট বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন রাজকুমার বাবু সকাল থেকেই ভোট লুঠেরাদের আটকে দিয়েছিলেন – আর তারই ফলে তাঁকে অপহরণ করে রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয় এবং তাঁর করুন পরিণতি ঘটে। আর তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আর কেউ ‘রাজকুমার রায় হতে চাই না’ বলে তীব্র আওয়াজ তুলেছেন সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকরা।

ফলে ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি উঠেছে – যদিও বাস্তব ক্ষেত্রে কমিশন ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেয় নি – কিন্তু এই দাবির সামনে লোকসভা নির্বাচনের নিরাপত্তা অনেক আঁটোসাঁটো করেছে। আর এর ফলেই কি অনেকের অসুবিধা হচ্ছে? বিশেষ করে শাসকদলের? প্রশ্নটা উঠছে – কারণ শাসকদলের দিনহাটার হেভিওয়েট বিধায়ক উদয়ন গুহের একটি ফেসবুক পোস্ট। যেখানে উদয়নবাবু লিখেছেন, অনেকের বাড়িতে খেয়ে চাকরি করতে ভালো লাগছে না, এবার তাঁদের সমস্যার সমাধান হবে। আর উদয়নবাবুর এই পোস্ট সামনে আসতেই তীব্র তরজা শুরু হয়ে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, ভোটকর্মীদের তীব্র আন্দোলনের জেরে এবারের নির্বাচনে শাসকদল সেইভাবে ভোট ‘অপারেট’ করতে পারছে না। তাছাড়া প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিন অনেক বুথেই ভোটকর্মীরা ভোট লুঠ আটকে দিয়েছে। শাসকদলের অনেক শিক্ষক নেতাই তাতে প্রচ্ছন্ন মদত দিয়েছে – ফলে সব মিলিয়ে বেশ বেকায়দায় শাসকদল। আর তারফলেই ২৩ তারিখের আগাম আভাস পেয়ে গিয়েই এই ধরনের প্রচ্ছন্ন হুমকি দিচ্ছেন উদয়নবাবু। পরাজয় নিশ্চিত জেনেই পরবর্তী দফাগুলিতে ভোটকর্মীদের চাপে রাখতে এই ধরনের প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়া শুরু হয়েছে।

যদিও উদয়নবাবু নিজে জানিয়েছেন, ফেসবুক পোস্টে কোথাও কোনও হুমকি নেই। অনেকেই প্রতিদিন বাড়িতে খেয়ে পাশেই চাকরি করে দৈনন্দিন জীবনে আকর্ষণ খুঁজে পাচ্ছেন না – তাঁদের জীবন একঘেয়ে বিরক্তিকর হয়ে গিয়েছে। তাঁদের অনেকেই বিরক্তিকর একঘেয়ে জীবনযাপন থেকে মুক্তি চাইছেন, তাঁদের এই সমস্যার সমাধান করা হবে। কিন্তু শিক্ষকমহলের বক্তব্য, সকলেই বাড়ির কাছেই কাজ করতে চান। জীবন একঘেয়ে হয়ে গেলে বরং পরিবার-পরিজন নিয়ে কয়েকদিনের ছুটি কাটিয়ে আসা হয়। কিন্তু, ‘বাড়ির খেয়ে কাজ করতে একঘেয়েমি লাগছে’ – উদয়নবাবু কোথায় থেকে এমন তথ্য পেলেন তাতো স্পষ্ট করা উচিত! নাহলে এই পোস্টকে ‘প্রচ্ছন্ন হুমকি’ ছাড়া অন্য কিছু ভাবা যাচ্ছে না!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!