এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুনে তৃনমূলের হাত দেখছেন বাবা, ৭২ ঘণ্টা পেরোলেও এফআইআর হয়নি!

পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুনে তৃনমূলের হাত দেখছেন বাবা, ৭২ ঘণ্টা পেরোলেও এফআইআর হয়নি!


গত ১৮ ই এপ্রিল সকালবেলা পুরুলিয়ায় আড়ষা থানার সেনাবনা গ্রামের বাসিন্দা শিশুপাল সহিসের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় রাজ্য রাজনীতিতে। মৃত শিশুপাল সহিস বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত ছিলেন। এমনকি তাঁর বাবা যাদব সহিস স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সিরকাবাইদের বিজেপি সদস্য হিসাবে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্বচিত হয়েছেন। আর শিশুপাল সহিসের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ভোটের মরসুমে সমস্ত অভিযোগের তীর ওঠে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।

এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও শনিবার বুনিয়াদপুর সভায় এসে শিশুপাল সহিসকে খুন করার অভিযোগ তুলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এই নিয়ে মুখ খুলছেন, সেখানে ঘটনার ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এফআইআর হয় নি! ফলে, বিভিন্ন মহলে তৈরী হয়েছে প্রবল ধন্দ! আজ মৃত শিশুপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজুজু। তাঁকেও এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়।

যার প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, “বিজেপির কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন। তবে পুলিশ প্রশাসন আর তৃণমূল এক হয়ে গিয়েছে। নিরপেক্ষ প্রশাসন না হওয়া পর্যন্ত মানুষ আর ন্যায়বিচার পাবে না।” কিন্তু সত্যিই কি শিশুপাল সহিসকে কেউ বা কারা চক্রান্ত করে মেরে ফেলেছে? নাকি এর পেছনে অন্য কারণ রয়েছে? কি বলছে নিহতের পরিবার পরিজনেরা? এদিন এই প্রসঙ্গে মৃতের মা বিপুলা সহিস বলেন, “ঘটনার দিন ছেলেটা বারবার আমাদের ফোন করে বাড়ি আসতে বলেছিল। কিন্তু বাড়ি ফিরে আর আমার ছেলেকে পেলাম না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শোকে বিহ্বল মায়ের আরও বক্তব্য, “অনেকে বলছে নিজের গলায় নিজে ফাঁসি দিয়েছে, আবার কেউ বলছে ছেলেকে কেউ বা কারা মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। কিন্তু, ছেলের সঙ্গে কারও কোনও বিবাদ ছিল না। ওকে কেউ কেন মারবে?” অন্যদিকে শিশুপালের বাবার বক্তব্য, ঘটনার দিনে তাঁর এক বৌমা পরে গিয়ে মাথায় গুরুতর ছোট পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। ফলে, থানায় যাওয়ার সুযোগ পান নি, কিন্তু ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বিজেপির তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, সিবিআই তদন্তের দাবিতে ইতিমধ্যে গোটা জেলাজুড়ে পথ অবরোধও করেছে বিজেপি।

শিশুপালের বাবা জানান, ছেলেটার সঙ্গে গ্রামের কারও কোনও বিরোধ ছিল না। ঘটনার দিন সকালে দেওয়াল লিখন করার পর বিকেলে কাউকে কিছু না বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। আমরা বাড়িতেও ছিলাম না। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পর থেকে ছেলেটার আর খোঁজ পাইনি। ছেলে মোবাইল ফোনটাও নিয়ে যায়নি। নির্দিষ্ট করে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলেও তৃণমূলই ছেলেটাকে মেরেছে বলে মনে হয়। সবমিলিয়ে এত বড় ঘটনার পর যেখানে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে, প্রশ্ন তুলছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী – সেখানে শুধুমাত্র মৃতের পরিবার থেকে থানায় যাওয়া হয় নি বলে পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে আছে বলে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে স্থানীয় স্তরে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!