এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলবিরোধী হাওয়াই ধরতে পারেননি! তৃণমূল নেত্রীর রোষানলে দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী!

দলবিরোধী হাওয়াই ধরতে পারেননি! তৃণমূল নেত্রীর রোষানলে দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী!

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে রাজ্যজুড়ে বেশ জোরের সঙ্গেই তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছিলেন, বাংলা থেকে ৪২ এ ৪২ পাবে তাঁর দল, আর বিজেপির ভাগ্যে জুটবে গোল্লা! অথচ ২৩ তারিখ ফল বেরোতেই দেখা গেল, তাঁর সব হিসেব ওলোটপালোট করে দিয়ে ১৮ টি লোকসভা আসন জিতে নিয়ে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে গেরুয়া শিবির! ঘটনার তাৎপর্যে কার্যত নিজেকে দুদিন গৃহবন্দী করে রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী। দুদিন বাদে দলীয় পর্যালোচনা সেরে অবশেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।

সেখানে, দলকে চাঙ্গা রাখতে নিজের দলের জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা স্বীকার না করে – ইভিএম প্রোগ্রামিং আর বিজেপির টাকা ছড়ানোর তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে বেশি তৎপর হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু তার পরবর্তী কদিনে দলের একাধিক বিধায়ক ও কাউন্সিলর দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতেই, বোধহয় এবার জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার কথাটা অনুধাবন করতে শুরু করলেন তৃণমূল নেত্রী। আগাম ঘোষণা মত গতকাল তিনি দলের কোর কমিটির বৈঠক ডাকেন। সেখানে লোকসভার ফল নিয়ে কাটাছেঁড়া করার পাশাপাশি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রদবদলও করেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, এই বৈঠকে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল, তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দুই নেতার তীব্র ভর্ৎসনা জোটা! মুকুল রায় দল ছাড়ার পর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস কার্যত হয়ে ওঠেন তৃণমূল নেত্রীর ক্রাইসিস ম্যানেজার। যেখানেই দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উঠে এসেছে বা বিদ্রোহের আভাস পেয়েছেন, সেখানেই তিনি পাঠিয়েছেন অরূপবাবুকে। কিন্তু তাঁকে যে মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পাহাড়ে সেখানে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। ফলে তৃণমূল নেত্রী রীতিমত অসন্তুষ্ট হয়ে তাঁর কাছে জানতে চান যে, পাহাড়ে দল বিরোধী হাওয়া সম্পর্কে কেন দলের কাছে খবর ছিল না?

অন্যদিকে, মুকুল রায় পরবর্তী জামানায় তৃণমূল নেত্রীর আরও এক কাছের মানুষ ছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দায়িত্বে থাকা নদীয়া ও ঝাড়গ্রামেও বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে শাসকদল। সেই নিয়েও পার্থবাবুকে বড়সড় ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। ঝাড়গ্রাম তাঁর হাত থেকে কেড়ে আগেই শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী, এদিন নদীয়া জেলাও তাঁর হাত থেকে নিয়ে সেখানকার দায়িত্ব দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পার্থবাবুকে বলেন কলকাতা জেলা দেখতে। সবমিলিয়ে, লোকসভায় খারাপ ফলের পরিপ্রেক্ষিতে – দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখোপন দলনেত্রীর রোষানলে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!