নিজের বড়সড় সমস্যা নিয়ে অমিত শাহ-নির্মলা সীতারামনের দরবারে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জাতীয় July 19, 2019 রাজনীতির বিচারে আদায়-কাচঁকলায় সম্পর্ক আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বিজেপির। কিন্তু, রাজ্যের স্বার্থে কেন্দ্রের সঙ্গে অহেতুক ঝগড়া নয়, উল্টে সুসম্পর্কই যে একমাত্র পথ, তা আবার প্রমান করে দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও অর্থমন্ত্রী নির্মল সীতারামানকে জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বিবেচনা করে, কেন্দ্রীয় করে দিল্লির শেয়ার বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, দিল্লিও অন্যান্য রাজ্যের মতোই। ফলে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে, স্থানীয় সমস্যার সমাধানে ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যের মতোই দিল্লিরও কেন্দ্রের কাছে একই রকম ব্যবহার পাওয়া উচিত। তিনি এক চিঠিতেজানিয়েছেন, ২০০০ সাল থেকেই কেন্দ্রীয় করের শেয়ারের পরিবর্তে, দিল্লিকে বছরে ৩২৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু, সংবিধানের ২৭০ এর ৩ ধারা অনুযায়ী কেন্দ্র ও কেন্দ্রশাসিত নকলের মধ্যে, সংগৃহিত করের শেয়ার অনুপাতে ভাগ হওয়ার কথা। তা না হওয়াই বর্তমানে দিল্লি ন্যূনতম সাড়ে ৬ হাজার কোটি অতিরিক্ত টাকা থেকে প্রতি বছর বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেজরিওয়াল বলেন, দুর্ভাগ্যবশত সাংবিধানিক বিধান পরিত্যক্ত হয়েছিল, যার ফলে এই বড়সড় অসঙ্গতি ঘটে এবং তা রাজধানী দিল্লির অর্থব্যবস্থাকে বড়রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তিনি বলেন, দিল্লি দেশের রাজধানী এবং দ্রুততম ক্রমবর্ধমান মহানগরগুলির মধ্যে অন্যতম। ফলে, দিল্লির যেমন একদিকে প্রভূত উন্নয়নের দরকার আর তার জন্য প্রচুর সম্পদেরও প্রয়োজন। বিশ্বব্যাপী মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতি রেখে দিল্লি সরকারকে তার পরিকাঠামো বজায় রাখা উচিত। একই সাথে, তিনি ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করতে চান বা রাজধানীতে বসবাসকারীদের জন্য কর্মসংস্থান এবং উন্নত জীবন চান বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, দিল্লির শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক পরিকল্পনা, পরিবহন, সড়ক ও হাসপাতাল ইত্যাদি বিষয়ে বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল অমিত শাহ এবং নির্মলা সীতারামানকে ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে, বিষয়টি নিয়ে অর্থ কমিশনে যাতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, সে ব্যাপারেও অনুরোধ জানিয়েছেন। আপনার মতামত জানান -