এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > “ভিখারির সরকার” কোনো উন্নয়ন করতে পারবে না! “অঙ্ক কষে” বুঝিয়ে দিলেন হেভিওয়েট নেত্রী

“ভিখারির সরকার” কোনো উন্নয়ন করতে পারবে না! “অঙ্ক কষে” বুঝিয়ে দিলেন হেভিওয়েট নেত্রী

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মা মাটি মানুষের সরকারকে কার্যত “ভিখিরির সরকার” বলে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন আইপিএস তথা বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের “মা” বলে অভিহিত করেছিলেন প্রাক্তন এই পুলিশকর্তা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস দলের সঙ্গে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা তৈরি হয় ভারতী ঘোষের।

পরবর্তীতে মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানোর পরপরই ভারতী ঘোষকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করান মুকুল রায়। এরপরই পশ্চিমবাংলায় সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল লোকসভা আসন থেকে বিজেপির টিকিট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন ভারতী ঘোষ।

নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী তথা বাংলার চলচ্চিত্র অভিনেতা দেবের কাছে পরাজিত হলেও ঘাটালের শহর লাগোয়া অঞ্চলগুলিতে অনেকটা ভোটে এগিয়ে থাকেন ভারতী ঘোষ। আর এরপরই বিজেপির রাজ্য কমিটিতে বড় জায়গা করতে দেখা যায় প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষকে।

কিন্তু ঘাটাল সহ মেদিনীপুর জেলার মাটি কিন্তু ছাড়েননি ভারতী ঘোষ। একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে বারবার শাসকদলের বিরুদ্ধে এক হাত নিয়েছেন বিজেপির এই খ্যাতনামা নেত্রী। এদিন কেশপুরের একটি দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সরকারের আর্থিক নীতিকে তীব্র সমালোচনা করেন ভারতী ঘোষ।

মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানের সভা থেকে তিনি বলেন, “বামফ্রন্ট 2011 সালে পশ্চিমবাংলার ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার সময় রাজ্যের ঋণের পরিমাণ ছিল 193 লক্ষ কোটি টাকা। 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে সেই ঋণের টাকা না মিটিয়ে দিনের পর দিন বিভিন্ন ক্লাবকে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

এছাড়াও নানান খাতে টাকা নষ্ট করে ঋণের বোঝা বাড়িয়েছেন। যার কারণে বর্তমানে ঋণের পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে 366 লক্ষ কোটি টাকায়। প্রতিবছর 47 হাজার কোটি ঋণের টাকা মেটাতে হয় রাজ্য সরকারকে‌। এই ভিখারি সরকার রাজ্যে কি উন্নয়ন করবে!”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি এদিন ভারতী ঘোষ আরও অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সংঘাতের কারণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের থেকে পাওয়া বহু সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। আয়ুষ্মান ভারতের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবা পেতেন সাধারণ মানুষ।

কিন্তু তৃণমূল সরকার এই প্রকল্পকে রাজ্যে ঢুকতে দিল না।” এর সাথেই আরও প্রশ্ন করেন ভারতী ঘোষ। তিনি উল্লেখ করেন, কেশপুরের মানুষের জন্য কি উন্নয়ন করেছে তৃণমূল সরকার! এখানে রাস্তা, বাড়ি কিছুই তৈরি করা হয়নি। স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদরা এলাকার মানুষের খোঁজ নেন না বলেও অভিযোগ করেন ভারতী দেবী। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “বিধায়ক, সাংসদরা কোনোদিন মানুষের বাড়িতে চা খেয়ে তাদের সমস্যার কথা শুনতে চেয়েছেন! মানুষের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ নেই, তারা এলাকার কি উন্নয়ন করবে?”

অনুষ্ঠান শেষে এদিন ভারতীদেবী অনেক চক্ষু রোগীর মধ্যে চশমা বিতরণ করেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে স্কুলে গিয়ে বাচ্চাদেরকে পাত পেড়ে খাওয়ান। একই দিনে মেদিনীপুর শহরে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে এবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ফল বিতরণ করা হয়।

কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মেদিনীপুর জেলায় কেষ্টপুর, ঘাটাল ইত্যাদি এলাকায় যেভাবে রাজনৈতিকভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে ভারতী ঘোষ, তাতে যে আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রভূত চাপের মুখে পড়তে হবে, সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস এবার ভারতী দেবীর অভিযোগের ঠিক কি ভাষায় জবাব দেন! এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!