এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > রাজ্য রাজনীতিতে কি ঝড় তুলতে চলেছেন রোহন? মুকুলের হাত ধরে তৃণমূল যোগের জল্পনা!

রাজ্য রাজনীতিতে কি ঝড় তুলতে চলেছেন রোহন? মুকুলের হাত ধরে তৃণমূল যোগের জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মের সঙ্গে তার বাবার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। অনেক দুদে কংগ্রেসী রাজনৈতিক নেতারাই বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোমেন মিত্রের সংঘাত না থাকলে স্বতন্ত্র তৃণমূল কংগ্রেস দলের কখনোই জন্ম হত না। কিন্তু বরাবরই রাজনীতিতে বড় মনের পরিচয় দিয়ে এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই পরবর্তীতে সোমেন মিত্রকে নিজের দলে যথেষ্ট মর্যাদার সঙ্গে স্থান দিতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রীকে। কিন্তু সেই সম্পর্কও দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি।

একটা সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে নিজের পুরাতন দল কংগ্রেসে ফিরে আসেন কলকাতার মেজদা হিসেবে পরিচিত সোমেন মিত্র। পরবর্তীতে আজীবনকাল কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি থাকেন তিনি। কিন্তু তার মৃত্যুর পরেই অনেকের মনে হতে থাকে, এবার বোধহয় তার পরিবার বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হবে। বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকাতে সোমেন মিত্রের স্ত্রীর নামও দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে কোনোভাবেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি তারা। আর এই সবের কিছুর উর্ধ্বেই এখন সোমেনবাবুর পুত্রের তৃনমূল যোগের জল্পনা স্পষ্ট হতে চলেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বুধবার প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে ইস্তফা দিয়ে দলকে চিঠি দিয়েছেন রোহন মিত্র। পাশাপাশি বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরব হয়ে বর্তমান নেতৃত্ব কোনভাবেই তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না বলেই সরব হয়েছেন তিনি। আর 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে, কংগ্রেসের সংসর্গ ত্যাগ করলে যে কোনো নেতা তৃণমূলগামীই হবে।

তাই এখন অনেকের মতেই রোহনবাবুর তৃণমূল যোগ শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর পুত্র তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলে একদা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়িকা শিখা মিত্রও যে নিজের পুরনো দলে ফিরে যেতে পারেন, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর এই সব কিছুর মধ্যমণির ভূমিকা পালন করতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম বরিষ্ঠ নেতা মুকুল রায় বলে সূত্র মারফত খবর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দল ভাঙ্গানোর রাজনীতিতে মুকুল রায়ের যে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে, শাসক থেকে বিরোধী, কেউই তা অস্বীকার করেন না। ভারতীয় জনতা পার্টিতে থাকতে তৃণমূলের ঘর ভেঙে তিনি বিজেপির ঘর শক্তিশালী করেছেন। আবার পূর্বে তৃণমূল কংগ্রেসে থাকতে একাধিক জনপ্রতিনিধিকে নিজের দলে ঢুকিয়ে শাসন ক্ষমতা দলের হাতে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আর মুকুলবাবুর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পরে মিত্র পরিবারের সোমেন-পত্নী এবং সোমেন-পুত্র তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন এবং তার মাধ্যম হবেন মুকুল রায়, এটা কোনো আশ্চর্য হওয়ার মতো কথা নয়। উপরন্তু ঘটনাচক্র সেদিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!