এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রশান্ত কিশোরের ‘দুর্ব্যবহারে’ ব্যথিত হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক এবার পদত্যাগ করতে চলেছেন?

প্রশান্ত কিশোরের ‘দুর্ব্যবহারে’ ব্যথিত হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক এবার পদত্যাগ করতে চলেছেন?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে তৃণমূলের সর্বেসর্বা প্রশান্ত কিশোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূল শেষ কথা বলে ধরা হলেও, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ইকেও এখন পরিকল্পনার জন্য ভরসা করতে হচ্ছে দলের রাজনৈতিক রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরের উপর। প্রকাশ্যে একথা কেউ না বললেও, তলায় তলায় তা প্রত্যেকেই স্বীকার করে নিচ্ছেন। কেননা গত লোকসভা নির্বাচনে দলের অনেক আসনে পরাজয়ের ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে প্রশান্ত কিশোরকে রাজনৈতিক পরামর্শদাতার দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল।

আর এরপর থেকেই “দিদিকে বলো” কর্মসূচি থেকে শুরু করে “বাংলার যুবশক্তি” বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃণমূলের ভাবমূর্তি বেশি করে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছে সেই প্রশান্ত কিশোর এবং তার টিম। বিভিন্ন জায়গায় কোন নেতাকে দায়িত্ব দিলে ভালো হয়, তার রিপোর্ট করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সেই নাম সুপারিশ করেছে প্রশান্ত কিশোর।

আর সেই মোতাবেক বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে খবর। অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশমতই যে গোটা তৃণমূল কংগ্রেস দলটা চলছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না‌। তবে প্রকাশ্যে তৃণমূলের কেউ এই ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি না হলেও, অনেকেই যে প্রশান্ত কিশোরের এই দাদাগিরি মেনে নিতে পারছেন না, তা তৃণমূলের অন্দরমহলে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, এবার প্রশান্ত কিশোরের দুর্ব্যবহারে ব্যথিত হয়ে রাজ্যের এক হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক নিজের পদ থেকে পদত্যাগ করতে চলেছেন বলে খবর পাওয়া গেল। যার জেরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।জানা গেছে, সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোর এক তৃণমূল বিধায়ককে ফোন করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি দাঁড়ালে দল হারতে পারে বলে জানিয়েছেন। আর এরপরই প্রশান্ত কিশোরের সেই কথায় অপমানিত বোধ করেন ওই তৃণমূল বিধায়ক। যার পর রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “প্রশান্ত কিশোর দুদিনের ছোকরা। সে আমার মত 73 বছরের একজন সিনিয়র নেতার সাথে যেভাবে কথা বলছেন, সেটা আমি মানতে পারছি না।” আর এর পরেই নানা মহলে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে যে, তৃণমূলের এই বিধায়ক রীতিমত প্রশান্ত কিশোরের কথায় অপমানিত বোধ করে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য দলের কাছে আর্জি জানাবেন।

আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি এবার প্রশান্ত কিশোরের আচরণেও তৃণমূলের অন্দরে বিদ্রোহ ঘোষণা হয়ে গেল? দলের বিধায়কের কাছে প্রশান্ত কিশোরের ফোন যেতেই রীতিমত অপমানিত বোধ করে এবার শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে সরব হলেন হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক। যদি সত্যি সত্যিই প্রশান্ত কিশোরের কথায় অপমানিত বোধ করে রাজ্যের এই তৃণমূল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন, তাহলে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার নিয়ম নীতি নিয়ে দলের অন্দরে আরও বেশি করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে।

যার ফলে এক বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার সাথে সাথেই আরও অনেকেই এক বাক্যে প্রশান্ত কিশোরের বিরোধীতায় দলের অন্দরে সরব হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যার জেরে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তৃণমূল বিধায়কের ক্ষোভকে সামাল দিতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!