এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নতুন দায়িত্ব পেয়েই লোকসভায় দলের ভরাডুবির ‘রহস্য ফাঁস’ করলেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রী!

নতুন দায়িত্ব পেয়েই লোকসভায় দলের ভরাডুবির ‘রহস্য ফাঁস’ করলেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রী!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এসে এবার গুসকরার পুর বোর্ডের দায়িত্ব বদল হলো। এবছর করোনার জেরে পুরভোট কবে হবে, তা জানা নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রতিটি পুরবোর্ডের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর দায়িত্ব নিচ্ছেন পুর প্রশাসকেরা। এবার দায়িত্ব বদল হলো গুসকরা পুরসভার এবং নতুন দায়িত্ব পেয়ে লোকসভায় হারের রহস্য ফাঁস করলেন এলাকার তৃণমূল নেত্রী। গত শুক্রবার রাজ্য পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর থেকে গুসকরা পুরসভা প্রশাসক মন্ডলীর জন্য তিনজনের নাম পাঠানো হয়।

যাদের মধ্যে রয়েছেন 11 নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর গীতারানী ঘোষ, দু নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্না গোস্বামী এবং তৃণমূলের গুসকরা শহরের সভাপতি কুশল মুখোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, চেয়ারপার্সন হিসেবে বাছা হয়েছে গীতারানী ঘোষকে। এবং চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব নিয়েই গীতারানী ঘোষ একাধিক অভিযোগ তুলেছেন বিদায়ী পুরবোর্ডের দিকে। তিনি অভিযোগ করেন, বিদায়ী পুরবোর্ডে নির্দিষ্ট কয়েকজন পুরসভার কাজকর্মের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেন, কারো সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই।

আর সে কারণেই গত লোকসভা নির্বাচনে পুরভোটের ব্যর্থতার জন্য দল পিছিয়ে ছিল। তবে এদিন তিনি জানিয়েছেন, গুসকরা পুর প্রশাসকেরা সাধারণের জন্য পানীয় জল, নিকাশি, আলো, রাস্তাঘাট এবং স্বাস্থ্যের মত বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবেন। অন্যদিকে দলের প্রাক্তন কাউন্সিলরের সমস্ত অভিযোগ এক ধাক্কায় উড়িয়ে দিয়েছেন বিদায়ী পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায়। তাঁর কথায়, বোর্ড সবার সঙ্গে আলোচনা করে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করত। তিনি পাল্টা দাবি করেছেন, লোকসভা নির্বাচনের হারের দায় সম্পূর্ণরূপে দুর্বল সংগঠকের। এদিন গুসকরা পুরসভায় দায়িত্ব বদলের অনুষ্ঠানে ভিড় জমিয়েছিলেন দলের একাধিক কর্মী, সমর্থকরা। এলাকার তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডারও ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের মুখে মাস্ক ছিলনা। অন্যদিকে সিপিএমের বিদায় কাউন্সিলর মনোজ সাউ এদিন বলেন, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতে একাধিক মানুষ গুসকরা পুরসভার সামনে জড়ো হওয়ায় করোনা বিধি লঙ্ঘন হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বিজেপির গুসকরা নগর সভাপতি পতিতপাবন হালদার এদিন তৃণমূলের দিকে অভিযোগে বলেন, “গত কয়েকমাসে সরকারি নিয়মকে উপেক্ষা করে একের পর এক সভায় জমায়েত করেছে তৃণমূল। মানুষের কথা না ভেবে শুধু ভোটের কথা চিন্তা করে ওরা।”

অন্যদিকে তৃণমূলের গুসকরা সহ-সভাপতি কুশল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধারণ মানুষ যোগদান করেছিলেন এই অনুষ্ঠানে। তবে কাউকেই প্রশাসনের কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরো গুসকরা পুরসভার কার্যভার বদল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত, লোকসভা নির্বাচনে হারের কথা ভুলে গিয়ে দল কিভাবে সংগঠিত হচ্ছে, সে দিকেই নজর থাকবে দলীয় নেতৃত্বের বলে জানা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!