দিলীপ ঘোষের অনুমতি মিললেই মারের বদলা মার! রণহুংকার বিজেপি যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁর! কলকাতা পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 11, 2020 সম্প্রতি তিনি বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন। আর এই দায়িত্ব পাওয়ার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বেশি করে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্তমান বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে। এবার কোনো বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হলে পাল্টা মার খেতে হবে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন এই বিজেপি সাংসদ। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। জানা গেছে, এদিন আমপান বিধ্বস্ত এলাকায় তানভীরসহ বিজেপি কর্মীদের প্রান্তিকে দেওয়ার অনুমতি দাবিতে বারুইপুরে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল করে বারুইপুর থানার দিকে ডেপুটেশন দিতে যাচ্ছিলেন সৌমিত্র বাবু। অভিযোগ মাঝ রাস্তাতেই তাকে পুলিশের পক্ষ থেকে আটকে দেওয়া হয়। আর এর পরেই বাধা পেয়ে রাস্তায় বসে পড়েন সৌমিত্র খাঁ। পরবর্তীতে পুলিশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায় তাকে। পাশাপাশি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় এই বিজেপি সাংসদকে। তিনি বলেন, “রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অনুমতির অপেক্ষা। তারপর কোনো বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হলে পাল্টা মার খেতে হবে। আমরা আর চুপ করে বসে থাকব না।” অন্যদিকে এদিনের ডেপুটেশন প্রক্রিয়াকে মাঝপথে আটকে দিলে পুলিশের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি বলেন, “তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিটা থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হবে। পুলিশ যতই আমাদের আটকানোর চেষ্টা করুক, আমরা আমাদের কর্মসূচি থেকে সরে আসব না। পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করলে আমরাও ছেড়ে কথা বলব না। এই জেলায় ভাইপোর রাজ চলছে। এটা আমরা কখনও হতে দেব না।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার পর থেকেই প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে নানা সময়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেছে সৌমিত্র খাঁকে। কিন্তু এতদিন শুধুমাত্র বিজেপি সাংসদ ছিলেন তিনি। তবে এবার বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর যেভাবে রণ হুংকার দিয়ে বসলেন এই বিজেপি নেতা, তাতে রাজ্য রাজনীতিতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে যে বিজেপি বারবার গণতন্ত্রের কথা বলে, সেই বিজেপির অন্যতম সৈনিক সৌমিত্রবাবু কেন হঠাৎ পাল্টা মারের কথা বললেন, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে নানা মহলে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে। আপনার মতামত জানান -