এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার চাপ বাড়িয়ে পুরভোট করার দাবি বিজেপির, পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের!

মমতার চাপ বাড়িয়ে পুরভোট করার দাবি বিজেপির, পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন বাকি রয়েছে। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত নন। সেদিক থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে তাকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হতে হবে। তা না হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। সেদিক থেকে একাধিক বিধানসভা কেন্দ্র বিধায়ক শূন্য থাকায় সেগুলোর নির্বাচন যাতে তাড়াতাড়ি করা যায়, তার জন্য শাসক দলের পক্ষ থেকে কমিশনের আবেদন করা হচ্ছে। কিন্তু করোনা সহ একগুচ্ছ পরিস্থিতির কথা সামনে রেখে এখন সেই নির্বাচন করা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

অর্থাৎ উপনির্বাচনকে পিছিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারকে চাপে রাখাই বিজেপির কাছে প্রধান কৌশল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যখন বিধায়ক শূন্য বিধানসভা কেন্দ্রগুলির উপনির্বাচন করার জন্য দাবি জানানো হচ্ছে, ঠিক তখনই উপনির্বাচন পরে, আগে পৌরসভা নির্বাচন করা হোক বলে পাল্টা তৃণমূল সরকারের চাপ বাড়িয়ে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

সূত্রের খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন বাকি রয়েছে, সেখানে যাতে অবিলম্বে নির্বাচন করা হয়, তার জন্য কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই তৎপরতা তৈরি হতেই পাল্টা পৌরসভা নির্বাচন আগে করা দরকার বলে দাবি করতে দেখা গেল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপি চায়, উপনির্বাচন অবশ্যই হোক। কিন্তু তার আগে পৌরসভা নির্বাচন হোক। কারণ দীর্ঘদিন পৌরসভা ভোট বকেয়া থাকার কারণে নাগরিকরা পৌর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উপনির্বাচন না হলে সরকার পড়ে যাবে না। কিন্তু পৌরবাসীদের পৌর প্রতিনিধি খুঁজে পাওয়া দরকার। মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, তাও নিশ্চিত করা দরকার। আমরা আমাদের বক্তব্য নির্বাচন কমিশনকে জানাব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থ্যাৎ বিজেপির এই ধরনের দাবি যে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে রাখার একটা বড় কৌশল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা রাজ্য মন্ত্রিসভায় মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হননি। সেদিক থেকে মন্ত্রী হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে তারা যদি বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত না হন, তাহলে তাদের পদ চলে যেতে পারে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপি কৌশল করে সেই উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে তা পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল শাসক দলের মধ্যে। আর শাসক দলের পক্ষ থেকে যখন সেই উপ-নির্বাচন করার ব্যাপারে দাবি তোলা হচ্ছে, ঠিক তখনই উপনির্বাচন দেরিতে হলে ক্ষতি নেই, কিন্তু আগে পৌরসভা নির্বাচন করা হলে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হল, তাতে নয়া গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই দাবি করা হলেও তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এদিন তিনি বলেন, “অর্থহীন কুযুক্তির আমদানি করছে বিজেপি। যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হয়নি, তার পাঁচটিতে উপনির্বাচন। বাকি দুটিতে ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গিয়েছিল। তাও কমিশন পিছিয়ে দিয়েছে। এই খেলা বন্ধ করে বিধানসভা উপনির্বাচন করা হোক। রাজ্য সরকার যথাসময়ে পৌরসভা নির্বাচন করবে।”

অর্থাৎ উপনির্বাচন বনাম পৌরসভা নির্বাচন কোনটা আগে হবে, তা নিয়ে এখন রীতিমত তরজায় জড়িয়ে পড়ল তৃনমূল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টি। একে অপরের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তৃণমূল উপনির্বাচন এবং বিজেপি পৌরসভা নির্বাচন আগে হোক বলে দাবি তুলছে। সেদিক থেকে এই নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। তাই এই ব্যাপারে কমিশনের পক্ষ থেকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তাতে উপনির্বাচন নাকি পৌরসভা নির্বাচন কোনটা আগে হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!