পে-কমিশনের মন্ত্রীসভার অনুমোদনের পরেই আজ বড়সড় কর্মচারী বিক্ষোভের মুখে রাজ্য সরকার কলকাতা রাজ্য September 24, 2019 আর কয়েকদিনের মধ্যেই বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো শুরু হতে চলেছে – আর তার আগেই নিজের দেওয়া কথামত গতকাল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ষষ্ঠ পে-কমিশনের মন্ত্রীসভার অনুমোদন দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ‘সুখবর’ শোনালেন। কিন্তু, তিনি রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হয়ে যাকে ‘সুখবর’ বলছেন, তা নিয়ে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন যাঁদের জন্য এই ‘সুখবর’ – সেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার কথা ডান-বাম সব পক্ষের গলাতেই। এমনকি, এই পে-কমিশন নিয়ে ‘হতাশা’ লুকিয়ে রাখতে পারেন নি তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী সংগঠনের শীর্ষনেতাও! আর তাই, রাজ্য সরকার ‘সুখবর’ দিতে চাইলেও, তা মানতে নারাজ সরকারি কর্মচারীদের এক বৃহদংশ। আর তাই, আজই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাতে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একটা বড় অংশ। রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় শঙ্কর সিংহ এক প্রেস বার্তায় জানিয়েছেন, আজ রাজ্য জুড়ে অফিসে অফিসে টিফিন-এর সময় ৪১% মহার্ঘ্যভাতা অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে এবং ‘ঘোষিত ষষ্ঠ বেতন কমিশনের এরিয়ার কি হবে?’ ইত্যাদি জরুরি দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী নেওয়া হবে। কলকাতাতে খাদ্য দফতর, মহাকরণ, নব-মহাকরণ, ভবানীভবন, PSC সহ অসংখ্য দপ্তরে এই বিক্ষোভ সভা হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, গতকালই বিজয়শঙ্করবাবু নিজের প্রতিক্রিয়ায় প্রিয় বন্ধু মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার প্রায় ৪ বছর বাদে কর্মচারী সমাজ, শিক্ষক মহাশয় দের ও প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত দের প্রতি চরম আর্থিক বঞ্চনা, বিভ্রান্তিকর ও প্রতারণা মূলক ঘোষণা করেছে। বকেয়া ৪১% ডিএ ঘোষণা হল না বা এরিয়ার কি হবে? স্বাভাবিকভাবে আমাদের রাজ্যের কর্মচারী সমাজ, শিক্ষক মহাশয় ও অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এই বিভ্রান্তিকর ও প্রতারণা মূলক ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। একই সঙ্গে তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী-সহ মন্ত্রীদের লক্ষাধিক টাকার বেতন বৃদ্ধি, ক্লাব-পুজো-খেলা-মেলা-উৎসব-কার্নিভ্যালে দেদার হরিলুটের মত স্বেচ্ছাচাররের সাথে খরচ হচ্ছে। আর কর্মচারী সমাজ ও তাদের পরিবার, শিক্ষক মহাশয় ও প্রবীণ অবসরপ্রাপ্তদের সামাজিক সম্মানে আঘাত করা সহ চরম আর্থিক বঞ্চনা করা হচ্ছে। যা ভূ-ভারতে কোথাও হচ্ছে না। দেশের সব কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা পে-কমিশন ও ডিএর আর্থিক সুবিধা ভোগ করছে। বিজয়বাবু স্পষ্টই জানিয়েছিলেন, আমরা এই পাহাড় প্রমাণ বঞ্চনার প্রতিবাদে সরকারকে পুনরায় বিবেচনার জন্য বলছি। অন্যথায় আপামর কর্মচারী সমাজের স্বার্থে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি অর্থাৎ প্রশাসনকে স্তব্ধ করে দাওয়ার মত কর্মসূচি নেবো – এই হুঁশিয়ারি দিচ্ছি। অর্থাৎ, রাজ্য সরকার অনেক আশা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ‘সুখবর’ শোনাতে চাইলেও, তাতে যে ক্ষোভের আগুন নেভেনি উল্টে তা বেড়ে গেছে বহুগুন – তা পে-কমিশনের মন্ত্রীসভার অনুমোদনের সাথেসাথেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। আপনার মতামত জানান -