বিধানসভায় অন্তত 80% আসন নিজেদের দখলে রাখতে নীল-নকশা তৈরি বিজেপির জাতীয় October 4, 2019 জমে উঠেছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচার-প্রসার এবং রণনীতি কর্মসূচি। অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহারাষ্ট্রে এবং হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে নিজেদের জয়ের ধারাকে অব্যাহত রাখতে মরিয়া শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি। সেই মোতাবেক তারা তাদের প্রস্তুতি শুরু করেছে। অন্যদিকে পিছিয়ে নেই বিরোধী দলগুলোও। কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলো নিজের নিজের রাজনৈতিক তরবারে শান দিচ্ছে। হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে এবার 80 শতাংশ আসন জিতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় ভারতীয় জনতা পার্টি। সেই হিসেবে 90 আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় 75 টি আসন টার্গেট করেছে গেরুয়া শিবির। এই বিষয়ে অমিত শাহের রণনীতি অর্থাৎ “শাহ প্ল্যান” তৈরি বলে জানা গেছে বিজেপি সূত্রে। আগামী একুশে অক্টোবর হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এবার নির্বাচনে গত বিধানসভা নির্বাচনের সমীক্ষাকে কাজে লাগিয়ে, সেবারের ফলের নিরিখে যে সমস্ত স্থানে ভারতীয় জনতা পার্টি পিছিয়েছিল, সেই সকল জায়গায় নিজেদের প্রভাব বিস্তার করা উদ্দেশ্য বিজেপির। এক্ষেত্রে জাঠ প্রভাবিত দেশওয়ালি এলাকা থেকে শুরু করে রোহতক, ঝাজ্জর এবং সোনেপত এলাকাকেই সম্মিলিতভাবে দেশওয়ালি বলা হয়। বিধানসভা আসনের নিরিখে 14 জন বিধায়ক নির্বাচিত হয় এই এলাকা থেকে এবং 90 জন বিধান পরিষদের সদস্য এই এলাকা থেকে নির্বাচিত হন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের পক্ষে চিন্তার কারণ এই দেশওয়ালি এলাকায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা যথেষ্ট প্রভাবশালী বলে পরিচিত। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী অরবিন্দ শর্মার কাছে পরাজিত হন ভূপেন্দ্র পুত্র দীপেন্দ্র সিং হুডা। তাই বিজেপির কাছে লোকসভা নির্বাচনের এই জয় রীতিমতো আশার আলো দেখাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সম্প্রতি এই এলাকায় একাধিক জনসভা থেকে সম্বোধিত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়াও এলাকায় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে থেকেই নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে প্রচারে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। জন আশীর্বাদ যাত্রা কর্মসূচির মাধ্যমে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নিজের প্রচার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই বলাই বাহুল্য, এবারের নির্বাচনে বিজেপির কাছে মূল উদ্দেশ্য দেশওয়ালি এলাকায় পদ্ম ফুল ফোটানো। কারণ গতবারের নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসা সত্ত্বেও দেশওয়ালি এলাকায় কিন্তু কংগ্রেসের প্রভাব অধিক ছিল। তাই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের কাছ থেকে সেই এলাকা ছিনিয়ে নিতে চায় ভারতীয় জনতা পার্টি। যদিও বিজেপির পালে হাওয়া যুগিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল। এই নির্বাচনে দেশওয়ালি এলাকায় কংগ্রেসকে যথেষ্ট চাপের মুখে ফেলতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লোকসভার প্রতিফলন ঘটাতে মরিয়া হয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। তবুও নিজেদের লক্ষ্য থেকে এক চুলও বিচ্যুত হতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। আর তাই চলছে নীল-নকশা অনুযায়ী কাজ। ইতিমধ্যেই হরিয়ানায় স্মৃতি ইরানি থেকে শুরু করে মিনাক্ষি লেখিদের মত স্টার প্রচারকদেরকে দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক আবহাওয়াকে আরও শক্তিশালী করতে শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনীতি আর ক্রিকেট খেলায় শেষ পর্যন্ত কি হবে, তা বলা যায় না। তাই প্রস্তুতি ভালো হলেও বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় এখন নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন শেষ হাসি কে হাসে! সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -