উপনির্বাচন থেকেই বাম- কংগ্রেস জোট আরও জোরদার ও মজবুত করতে আসরে দুই শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব কলকাতা রাজ্য October 26, 2019 গত 2016 বিধানসভা নির্বাচনের পর সেইভাবে লোকসভা নির্বাচনে জোট করতে দেখা যায়নি বাম-কংগ্রেসকে। যার ফলে দুই দলের শক্তি অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে এবং কংগ্রেস একটা আসন পেলেও বামেরা একটা আসনও এই রাজ্য থেকে দখল করতে পারেনি বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তবে লোকসভা নির্বাচন থেকে শিক্ষা নেওয়ার পর এই রাজ্যে বিজেপি আঠারোটা আসন দখল করে বিরোধী দলের জায়গা নিয়ে নেওয়ায় কিছুটা অস্বস্তিতে থাকা বাম এবং কংগ্রেস জোট করার পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছিল। সেইভাবে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত নেওয়া যায়নি। কিন্তু সদ্য হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের ফলাফল দেখে এবার এই রাজ্যে বিজেপির বদলে বিরোধীদলের জায়গা নিতে নিজেদের মধ্যে জোটের ব্যাপারে চূড়ান্ত আলোচনা করতে উদ্যোগী হাত এবং কাস্তে-হাতুড়ি শিবির। জানা গেছে, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতা দখল করলেও লোকসভা নির্বাচনের থেকে তাদের ফল অনেকটা খারাপ হওয়ায় এবং সেখানে কংগ্রেসের ফলাফল কিছুটা ভালো হওয়ায় দেশজুড়ে যে বিজেপির উত্থানের পারদ দিনকে দিন নামতে শুরু করেছে, তা বুঝতে পেরেই এবার রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাওয়ার জন্য এবং বিজেপিকে দ্বিতীয় স্থান থেকে সরানোর জন্য রাজ্যের বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে নিজেদের মধ্যে জোট চূড়ান্ত করে নিতে চাইছে বাম এবং কংগ্রেস বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। সূত্রের খবর, আজ এই ব্যাপারে বামফ্রন্ট শরিকদের নিয়ে আলিমুদ্দিনে একটি আলোচনায় বসতে চলেছে সিপিএম। ইতিমধ্যেই শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের তরফে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে এই ব্যাপারে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও খবর। যেখানে হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে বিজেপির ফলাফল কিছুটা খারাপ হওয়ায় এই রাজ্যে বিজেপিকে সরানোর জন্য এবং তৃণমূলকে চাপে ফেলতে আসন্ন করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের মধ্যে জোটের ব্যাপারটি চূড়ান্ত করে নেওয়া হোক বলে নিজের লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলে দাবি একাংশের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে সিপিএমের কাছে আবেদন জানানো হলেও কেন এখনও পর্যন্ত সিপিএম তা নিয়ে আলোচনা করছে না, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। এদিকে জোটের ব্যাপারে আলোচনার একটা সম্ভাবনা তৈরি হলেও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর চোখের অপারেশনের কথা থাকায় তাতে আরও কিছুটা দেরি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু বেশি দেরি হলে যে পরিস্থিতি আবার বেগতিক আকার ধারণ করবে, তা বুঝতে বাকি নেই বাম শিবিরের নেতাদের। আর তাই তো তড়িঘড়ি নিজেদের মধ্যে জোটের ব্যাপারটিকে পাকা করে নিতে চাইছেন তারা। কিন্তু কবে সেই জোটের ব্যাপারটি পাকা করবেন তারা! এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় ফল বুঝিয়ে দিয়েছে যে, বিজেপি মোটেও অপরাজেয় দল নয়। সাধারণ মানুষের যখন নাভিশ্বাস উঠছে, তখন এই ধরনের ধাক্কা যে তাদের খেতে হবে তা এই দুই রাজ্যের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে। লোকসভা ভোটে এরাজ্যে যারা তৃণমূলের থেকে পরিত্রান পেতে বিজেপিকে বেছে নিয়েছিলেন, তারা এখন বুঝতে পারছেন যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কি হতে পারে। তাই এই অবস্থায় বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সার্বিক ঐক্য জরুরি। আমরা এটাই বলার চেষ্টা করছি। কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনায় বিলম্ব হওয়ার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই। আমাদের দল একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে চলে বলেই হয়তো কিছুটা সময় লাগছে।” তবে কবে তাদের এই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শেষ করে বাম এবং কংগ্রেস হাতে হাত ধরে লড়াইয়ে নামবে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -