এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পাঁচ বাঙালিকে পরিকল্পনামাফিক খুন, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চাই – গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী

পাঁচ বাঙালিকে পরিকল্পনামাফিক খুন, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চাই – গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী

 

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বরাবরই “বাংলার জনগণের তিনি পাহাড়াদার” আবার বলে দাবি করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তো দেশের কোনো প্রান্তে বাঙালিরা বিপদে পড়লেই যেমন সরব হতে দেখা যায় তাঁকে, ঠিক তেমনই দুর্গতদের উদ্ধার করতেও নিজের প্রশাসনকে কাজে লাগান তিনি। আর এবার বাংলা থেকে কাশ্মীরে কাজ করতে যাওয়া মুরসালিন শেখ, কামিরুদ্দিন শেখ, রফিক শেখ, নৈমুদ্দিন শেখ এবং রফিকুল শেখের মৃত্যুতে গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার সূর্য উদয় হওয়ার আগেই রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উদ্যোগে সেই কফিনবন্দি মৃতদেহগুলো যখন মুর্শিদাবাদের বাহালনগরে ঢুকল, তখন সেখানে শোনা গেল শুধুই কান্নার রব। পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আসেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, মন্ত্রী জাকির হোসেন, জেলাশাসক এবং পুলিশসুপার।

ইতিমধ্যেই বাংলার এই যুবকদের মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা।ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, প্রায় প্রত্যেকেই মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এই ব্যাপারে কেন্দ্রের শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। আর এবার এই ব্যাপারে মুখ খুলে 5 বাঙালিকে পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি এদিন তিনি গোটা ঘটনায় বিচারেরও দাবি জানান। সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যখন ইউরোপীয় সংসদ সদস্যরা কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কাশ্মীরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তখনও নৃশংস ভাবে 5 বাঙালিকে খুন করা হল। কেউ কেউ বলছেন, ওরা শ্রমিক, কেন গিয়েছিল! আমাদের এখানে বিহারীরা থাকে না! বলব, চলে যাও! যে কেউ, যেখানে খুশি যেতে পারে। রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশে বাঙালিকে খুন করা হয়েছে। এটা পরিকল্পনামাফিক খুন। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চাই। সংবিধান অনুযায়ী দেশের যে কোনো প্রান্তে যে কেউ যেতে থাকতে পারে। গোটা দেশকেই জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এক থাকতে হবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলা ও বাঙালির স্বার্থ যে তাঁর কাছে সব থেকে আগে, তা 5 বাঙালির নিহত হওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারের দাবি জানিয়ে ফের প্রমাণ করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি পাঁচ বাঙালির কাশ্মীরে যাওয়া নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছে, তাদের কটাক্ষ করেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, দেশের সংবিধান সবাইকে সব জায়গায় যাওয়ার অধিকার দিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!