বিপক্ষের বিধায়কদের 25-50 কোটি টাকা দিয়ে সরকার গঠনে কেনার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় November 9, 2019 ভারতীয় রাজনীতিতে ঘোড়া কেনাবেচার কথা আমরা প্রায়ই শুনি। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল নিজেদের বাগে বিরোধীদলের বিধায়কদের টানতে অর্থের প্রলোভন দেখায় বলে দাবি করেন অন্য রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা। আর এবার সেই ঘোড়া কেনা-বেচার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। বস্তুত, অনেকদিন হয়ে গেল মহারাষ্ট্রের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। হাতে আর মাত্র একদিন রয়েছে। তার পরেই সরকার গঠন না হলে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। শনিবার রাতে এই সরকার গঠন নিয়ে শপথ নেওয়ার কথা থাকলেও শুক্রবার এই ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া গেল না। উল্টে এদিন বিজেপি এবং কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ নিয়ে সরব হল। সূত্রের খবর, এদিন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়ারেত্তিয়ার বলেন, “আমাদের বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। দলবদলের বিনিময়ে তাদের 25 থেকে 50 কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। আমরা বিধায়কদের বলেছি কল রেকর্ড করে রাখতে। রাজ্যের মানুষ সবকিছু জানুক।” এদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হলেও তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি কেশব উপাধ্যায় বলেন, “ঘোড়া কেনাবেচার কোনো প্রশ্নই নেই। এটা বিজেপির সংস্কৃতি নয়। এই অভিযোগের মাধ্যমে শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেস নিজেরাই হতাশা প্রকাশ করছে। কয়েক দশক আগে কংগ্রেস দুশোর বেশি আসন পেয়েছিল। গত কয়েকটি নির্বাচনে তারা ভালো ফল করতে পারেনি। তাই হতাশা থেকেই তারা এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।” একইভাবে কংগ্রেসের বিজয়বাবুর তোলা বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী সুধীর মঙ্গান্তিওয়ার। তার দাবি, ঘোড়া কেনাবেচার কথা বলে কংগ্রেস তার নিজের বিধায়কদেরই অপমান করছেন।এদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যখন ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তোলা হচ্ছে বিজেপির বিরুদ্ধে, ঠিক তখনই কংগ্রেস বিধায়কদের হোটেলবন্দি করেছে বলে জানা যাচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের 48 জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিধায়ক রাজস্থানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সেখানে জয়পুরের কোনো একটা হোটেলে থাকবেন তারা। আর তারপরই সেখানে কংগ্রেস নেতৃত্ব বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। যদিও বা দলীয় বিধায়কদের হোটেলবন্দি করার খবর অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়ারেত্তিয়ার বলেন, “আমরা বিধায়কদের জয়পুরে সরাচ্ছি না। তবে যদি কোনো বিধায়ক জয়পুর যান, তবে নিজের ইচ্ছায় গিয়েছেন। এত কঠিন নির্বাচনী ধকল কাটিয়ে কেউ কেউ অবসর বিনোদন তো চাইবেনই।” বিশেষজ্ঞদের মতে, মহারাষ্ট্র বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে আজ সরকার গঠনের শেষ দিন। ফলে ঘোড়া কেনাবেচার যে অভিযোগ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে, তাতে এই অভিযোগের কতটা সারবত্তা রয়েছে, তার দিকে নজর সকলেরই। পাশাপাশি কংগ্রেস নিজেদের বিধায়কদের হোটেলবন্দি করেছে বলে যে খবর আসছে, তারও কতটা ভিত্তি রয়েছে, সেই ব্যাপারেও খোঁজখবর নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। সব মিলিয়ে এখন ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে কোন দল মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করে, সেদিকেই নজর গোটা রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -