এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শিক্ষানীতিতে সরকারি হস্তক্ষেপ নিয়ে এবার বড়সড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর, জেনে নিন

শিক্ষানীতিতে সরকারি হস্তক্ষেপ নিয়ে এবার বড়সড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতিতে দেশের পঠনপাঠন একেবারে বন্ধ। যদিও সরকার থেকে আস্তে আস্তে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হচ্ছে, তবুও অনেকের দাবি ঘরে বসে এতদিনে কোন পড়াশোনাই হয়নি। সেক্ষেত্রে সরকারের পাল্টা যুক্তি, বাড়িতে অনলাইন ক্লাসের জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে। সেই মতো ক্লাস করানো হচ্ছে। তবে অভিভাবকদের অভিযোগ সেগুলি খুব একটা ফলপ্রসূ হচ্ছে না তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য। ফলত এই কয়েক মাসে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। তবে এ কথা বললেই তো আর কোনো সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। সমস্যার সমাধান হয়, সমাধান খুঁজলে। তাই সবার আগে প্রয়োজন সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা। আর সেই সমাধান খুঁজতেই হয়তো উঠে পড়ে লেগেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যাঁর ঘোষিত নতুন শিক্ষানীতি সম্ভবত ৩৪ বছরের এই শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গিয়ে সেই কথাই প্রমাণ করতে চাইছে।

যেকোনো দেশের ভবিষ্যত গড়ার ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেই দেশের শিক্ষার্থীরা। কারণ তাদের উন্নতির হাত ধরেই দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়। তাই সেই শিক্ষার্থীদের ঠিক করে গড়ে তোলাই একটা দেশের অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা করতে গেলে আগেই প্রয়োজন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা। সেখানে ব্যবসায়িক মনোভাব না রেখে আদর্শ শিক্ষা দানই একমাত্র উপায় হওয়া প্রয়োজন। প্রতি ৫ বছর অন্তর সেই শিক্ষা নীতিতে কিছু পরিবর্তন এলেও এবার বেশ বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে বলেই মনে করা হয়। কারণ এবার মনে হয়, সেই দিকেই এক ধাপ এগিয়ে যেতে চলেছে আমাদের দেশ। নেপথ্যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির কার্যক্রম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কি আছে তাতে? আসুন দেখা যাক
১) চলতি নিয়মের বদলে দ্বাদশ শ্রণিতে বোর্ডের পরীক্ষায় ৮টি সেমিস্টারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে ৫+৩+৩+৪ ভাগে ১৫ বছরের স্কুল স্তরে পড়ানো হবে। এর মধ্যে তিন বছর প্রি স্কুল পড়াশোনার সুপারিশ করা হয়েছে।
২) নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা থাকছে না।
৩) পরীক্ষায় পড়ুয়াদের লেখা পরীক্ষার বদলে প্রাকটিক্যাল বা ফিল্ড বেসড শিক্ষায় জোর দেওয়া হবে।

৪) প্রতিবছর পরীক্ষা নেওয়ার বদলে তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতেই পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
৫) দশম শ্রেণির পর কলা বিভাগ, বিজ্ঞান বিভাগ বা বাণিজ্য বিভাগের ফারাক থাকছে না। সেক্ষেত্রে কোনো ছাত্র পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়লেও, সংগীত নিয়েও পড়তে পারে। যেভাবে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন নিয়ে পড়লেও, ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়ার সুযোগ থাকবে।
৬) স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা/আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৭)অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা/আঞ্চলিক ভাষা শিক্ষায় ঐচ্ছিক বিষয় রূপে রাখা যাবে।

৮) উচ্চশিক্ষায় এমফিল থাকছে না।
৯) এছাড়া হায়ার এডুকেশন কাউন্সিলে আওতায় থাকবে না মেডিক্যাল ও আইনি শিক্ষা। সেক্ষেত্রে স্নাতক স্তরে অনার্স কোর্স ৪ বছর পর্যন্ত করা হবে। তবে আগের মতোই প্রতি বছরের শেষে পড়ুয়ারা সার্টিফিকেট পাবেন।
১০) কোর্স শুরুর ১২ মাসের মধ্যে পড়াশোনা ছেড়ে দিলে ভোকেশনাল কোর্সের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। যদি দুবছর বা ২৪ মাস পর ছাড়া হয়, তবে মিলবে ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট। আর চার বছরের কোর্স পুরো করলে পাওয়া যাবে ডিগ্রি কোর্সের সার্টিফিকেট। এছাড়া ১ বা ২ বছরে স্নাতকোত্তর শিক্ষার কথা বলা হয়েছে।

তবে এমন একটি পরিবর্তনের প্রয়োজন কোথায় ছিল, সেই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমানে দেশের আশা, আকাঙ্খা পূরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে শিক্ষানীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার। তাই রাজ্য, কেন্দ্র সরকার থেকে শুরু করে সবার শিক্ষানীতিতে সরকারি হস্তক্ষেপ কম করা উচিত। সরকারের প্রভাব শিক্ষানীতিতে পড়া কাম্য নয়। কারণ এটা সমগ্র দেশের শিক্ষানীতি। তাই বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা প্রয়োজন। পড়ুয়াদের উপর অযথা চাপ তৈরি না করে কীভাবে ভবিষ্যতের জন্য তাদের তৈরি করা হবে সেই দিশাই দেখাবে এই নতুন শিক্ষানীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!