এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাবরি মসজিদ কোথায় হবে? সামনে এল বড়সড় ইঙ্গিত – জানুন বিস্তারিত

বাবরি মসজিদ কোথায় হবে? সামনে এল বড়সড় ইঙ্গিত – জানুন বিস্তারিত


দেশের সবথেকে বড় মামলার, ঐতিহাসিক রায় দান সম্পন্ন হলো গত শনিবার‌। সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে অযোধ্যা মামলার রায়ে, বিতর্কিত জমিটি রাম মন্দির প্রকল্পে ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে একটি ট্রাস্ট গড়ার। অন্যদিকে, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে মসজিদের জন্য 5 একর জমি দেবার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট‌ আর এখানেই উঠলো একটা বড় প্রশ্ন।

1992 সালের 6 ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয় করসেবকরা। এবার সেই মসজিদ নতুন করে গড়ার জন্য যে জমি দেওয়া হবে তা কোথায় হবে সে নিয়ে নানান মতামত দেখা দিয়েছে। তবে রাম জন্মভূমির নিকটবর্তী কোন জায়গা মসজিদ তৈরির জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়া হবে না বলেই জানা গেছে। সূত্রের খবর, সরযু নদীর অপর পারে নতুন করে মসজিদ তৈরির জন্য জমি দেওয়া হতে পারে। এমনিতেই অযোধ্যা শহরের মধ্যে মসজিদের জন্য জমি পাওয়া খুবই সমস্যাজনক।

তাই বিকল্প জায়গা বেছে নিতে নদীর তীরবর্তী স্থানটিকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। তবে যে পারে রামমন্দির আছে, সে পারে কোনোমতেই মসজিদ হবে না বলে জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্র থেকে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে 5 একর জায়গা দিতে হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। তবে জায়গাটি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। সেই দায়িত্ব পালন করবে কেন্দ্র অথবা রাজ্য সরকার। মসজিদের জায়গা বাছার ব্যাপারে কয়েকটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র উঠে এসেছে। যার মধ্যে একটি হলো সরযু নদীর তীরবর্তী অঞ্চল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আরেকটি জায়গা হলো পঞ্চকোশি। কিন্তু এটি প্রায় 15 কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে অযোধ্যা-ফৈদাবাদ রোডে যেতে হবে। আরেকটি প্রস্তাব উঠে এসেছে মসজিদ গঠনের জন্য। সেটি হল, বাবরের সেনাপতি মীর বাকির সমাধিস্থল শাহজানওয়া গ্রামে। কিন্তু, মীর বাকিই রাম মন্দির ধ্বংস করে অতীতে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন বলে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। তাছাড়া, এই গ্রামটি রাম মন্দিরের পনেরো কিলোমিটারের মধ্যেই অবস্থিত।

অতএব সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এই গ্রামে মসজিদ হওয়া প্রশ্নচিহ্নের মুখে। বিকল্প জমি নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মতামত দিয়েছে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। তাঁরা জানিয়েছেন, ভেঙে দেওয়া বাবরি মসজিদের জায়গায় অন্য কোন জমি তাঁরা গ্রহণ করতে চান না। আবার অন্যদিকে আলোচনার মাধ্যমে জমির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সুপ্রিম কোর্টের মামলা চলাকালীন সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড জানিয়েছিল, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে শর্তসাপেক্ষে তাঁরা বিতর্কিত জমির দাবি ছাড়তে রাজি।

কিন্তু এই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাই রাম মন্দিরের বদলে মসজিদ করার জন্য যে 5 একর জমি দেওয়া হবে, তা কোথায় তাঁরা নেবেন এবং কতটা নেবেন সে সম্পর্কে নিশ্চিত করতে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের পক্ষ থেকে 15 দিন সময় চাওয়া হয়েছে। রাম মন্দিরের বদলে 5 একর জমি নেওয়া হবে কিনা সে সম্পর্কেও নিশ্চিত করবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড আগামী 15 দিনের মধ্যে। আপাতত পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী 15 দিন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!