এবারের উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের উত্তরবঙ্গ নদীয়া-২৪ পরগনা মেদিনীপুর রাজ্য November 20, 2019 আগামী 25 নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন হতে চলেছে। আর এই উপনির্বাচনকে ঘিরে পশ্চিমবঙ্গের তিন জেলায় সাজো সাজো রব। প্রতিটি উপনির্বাচনগুলিতে নিজেদের দক্ষতা দেখাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। এই উপলক্ষে তাঁরা নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে। তবে এই উপনির্বাচনে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন জানিয়েছে সুষ্ঠু ভোট পরিচালনা করার জন্য। আর সেই দাবি মাথায় রেখে উপনির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। লোকসভা নির্বাচনের পর আরও একবার বিধানসভা নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পুলিশের ওপর ভরসা না করে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিরোধীদল দাবি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। সেই দাবি মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে নির্বাচন পরিচালনার জন্য। নির্বাচন কমিশন অবশ্য অন্য কথা বলছে। তাঁরা বলছেন নির্বাচনে যাতে কোনো অশান্তি না হয়, সে কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনের কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিশের ওপর তাঁদের আস্থা নেই। এর আগের উপনির্বাচনে যথেষ্ট রাজনৈতিক হিংসার কান্ড ঘটেছিল রাজ্যে হয়েছিল। তাই এবার আর অন্য কিছু না ভেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, ভোটারদের সুরক্ষা দিতে 25 নভেম্বরের আগে থেকেই রুটমার্চ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রুটমার্চের জন্য রাজ্যে আসতে চলেছে 10 কোম্পানি আধাসেনা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - নির্বাচন কমিশনের দাবি, এর আগেও উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে 100% কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সমেত, সেই একইভাবে উপ-নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় ঘটনাটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল। নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে এই রাজ্যের নির্বাচনে। সেইজন্যে 100% কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে উপনির্বাচন করানো হতে পারে বলে খবর। প্রসঙ্গত নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যে ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। এর আগে লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রেও একইভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কারণে রাজ্য সরকার তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা-হানাহানির অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধীরা। তারপর থেকেই লোকসভা নির্বাচনের সময় 100% কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেন নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ এই বিতর্ককে দূরে সরিয়ে রেখে আপাতত নির্বাচনী প্রচারে মনোনিবেশ করেছে রাজ্যের প্রত্যেকটি দল। লোকসভা ভোটে বিজেপি রাজ্যে ভালো ফল করার কারণেই উপনির্বাচনে যে তাঁরা সমগ্র শক্তি নিয়ে যাবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, লোকসভা ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃণমূল পিছিয়ে থাকবে না, সেকথা অনস্বীকার্য বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। উপনির্বাচনে এবার প্রেস্টিজ ফাইট হতে চলেছে দুই মুখ্য দলের মধ্যে। যেভাবেই হোক না কেন ভোট হবে। আর সেই ভোটে রাজনৈতিক দলগুলি কি ভূমিকা গ্রহণ করতে চলেছে সেদিকে নজর থাকবে পরিদর্শক মন্ডলীর। আপনার মতামত জানান -