এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > করিমপুরে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি।

করিমপুরে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি।


আজ 25 শে নভেম্বর। নির্বাচন কমিশনের ঠিক করা দিনেই হচ্ছে রাজ্যের তিনটি বিধানসভার উপনির্বাচন একসাথে। এই উপনির্বাচন ঘিরে আগে থেকেই রাজনৈতিক কাজিয়া জমে উঠেছিল। উপনির্বাচনের দিন সেই দ্বন্দ্ব ব্যাপক আকার ধারণ করে। এদিন সকালে করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের ওপর হামলার ঘটনায় তুমুল প্রতিবাদ জানায় বিজেপি। সমস্ত ঘটনার পেছনে তাঁরা শাসক শিবিরকে দায়ী করে। অভিযোগ নিয়ে তাঁরা নির্বাচন কমিশনের দপ্তর হাজির হয়। উপনির্বাচনকে ঘিরে এহেন হামলার ঘটনা নজিরবিহীন বলে দাবি করেছেন মুকুল রায়।

উপ নির্বাচনের দিন সকালে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের ওপর যে হামলা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে রাজ্য বিজেপি শিবির। প্রতিবাদে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নেতৃত্বে শিশির বাজারিয়া সহ অন্যান্য প্রতিনিধিদল পৌঁছান কলকাতা নির্বাচন কমিশনের অফিসে। সেখানে গিয়ে তাঁরা নদীয়ার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেও লিখিত অভিযোগ জানান।

জয়প্রকাশ মজুমদারের উপর হামলার ঘটনাটি ঘটে এদিন সকালে। জয়প্রকাশ মজুমদার করিমপুরের ঘিয়াঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকালে পৌঁছে দেখেন, সেখানকার প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে দুটি ফোন রয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতেই তিনি পাশের ঘরে যান। সেখানে 10-11 জন কর্মী দাবি জানায়, তাঁরা ভোট কর্মীদের রান্নার দায়িত্বে এসেছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়েছেন, পিপুলখোলা ঘিয়াঘাট ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম হচ্ছে এই অভিযোগ তাঁর কাছে আগেই এসেছিল। অভিযোগ পেয়ে তিনি এলাকায় পৌঁছান। আর সাথে সাথে তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা‌। তাঁকে গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে কিল, চড়, ঘুষি মারা হয়। একজন তাঁকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে তাঁকে উদ্ধার করে। এই অবস্থায় জয়প্রকাশ মজুমদার তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং দাবি জানান, তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী এই হামলা চালিয়েছে।

অন্যদিকে, জয়প্রকাশ মজুমদারের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতায় বিজেপির প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে হাজির হন। বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানিয়েছেন, এই সম্পূর্ণ ঘটনার পেছনে একজনই মাস্টারমাইন্ড আর তিনি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের পর উপ নির্বাচনে তৃণমূলের হাওয়া মোটেই সুবিধার নয়, সে কথা বুঝতে পেরেই তিনি এ ধরনের ন্যক্কারজনক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপি সূত্রের খবর, জয়প্রকাশ মজুমদার আক্রান্ত হওয়ার খবরে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

প্রথম থেকেই এবারের উপনির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলির সাজো সাজো রব দেখা গিয়েছিল। প্রত্যেকেই নিজেদের অস্ত্রে শান দিয়েছিলেন, যা কিছুটা প্রকাশ পেয়েছিল নির্বাচনী প্রচারে। কিন্তু এদিন জয়প্রকাশ মজুমদারের ওপর হামলার ঘটনায় তুমুল সমালোচনায় ফেটে পড়েছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, যেকোনো কিছুই হোক না কেন প্রত্যেকেই সাধারণ মানুষ এবং সেই কারণে কারোর ওপরেই হামলার ঘটনাকে সমর্থন করা যায় না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে ইতিমধ্যে কমপ্লেন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এবার কি সিদ্ধান্ত নেয়, সে দিকেই তাকিয়ে রাজ্য বিজেপি শিবির সহ অন্যান্যরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!