এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার কি এই যুবনেতাও দল ছেড়ে দিচ্ছেন, জোর জল্পনা

এবার কি এই যুবনেতাও দল ছেড়ে দিচ্ছেন, জোর জল্পনা

একদিকে মহারাষ্ট্র, অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক নাটকীয়তার সাক্ষী হয়েছে ইতিমধ্যে গোটা দেশ। যেকোনো ভালো থ্রিলার মুভিকে হার মানাবে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পটভূমিকা বদল। রাতারাতি মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদল হয়ে যাওয়ায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। এবার শুরু হল আরেকটি রাজনৈতিক নাটক মধ্যপ্রদেশে। একটি টুইটার হ্যান্ডেলের বায়োকে ঘিরে শুরু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে রাজনৈতিক জল্পনা। ওই টুইটার হ্যান্ডেলটি মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা ও গোয়ালিয়রের শেষ রাজা মাধবরাও সিন্ধিয়ার ছেলে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার।

মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে রাজনৈতিক মহল যখন উত্তপ্ত, ঠিক সে সময় একটি টুইটার হ্যান্ডেলের বায়োকে ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলের বায়ো থেকে কংগ্রেসের নাম বাদ দিয়েছেন। বর্তমানে সেখানে লেখা রয়েছে তিনি একজন পাবলিক সার্ভেন্ট ও ক্রিকেট কর্মী। কিছুদিন আগেই একটি সংবাদ সংস্থাকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানিয়েছিলেন, ‘একমাস আগেই আমি আমার টুইট হ‍্যান্ডেলের বায়ো বদলে ফেলেছি। জনতার দাবি মেনেই আমি আমার টুইটার বায়ো ছোট করে দিই। এ নিয়ে জল্পনা অনর্থক।’

যবে থেকে কমলনাথ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, তবে থেকেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে মধ্যপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করার দাবি উঠেছে। যদিও সে দাবিকে দূরে ঠেলে দিয়েছে মধ্য প্রদেশ কংগ্রেসের কর্মকর্তারা। সূত্রের দাবি, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ এর সাথে দিগ্বিজয় সিংও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে চাইছেন অর্জুন সিং এর ছেলে অজয় সিংকে। দিগ্বিজয় সিং নিজে এখনো কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আগে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং মধ্যপ্রদেশে অর্জুন সিং মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা ও গোয়ালিয়রের শেষ রাজার ছেলে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাজনৈতিক মহলে।

জ্যোতিরাদিত্যর পিসি বসুন্ধরা রাজে বিজেপি নেত্রী ও রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বরাবর অভিযোগ কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতাদের প্রতি যুবনেতাদের। যুব নেতারা দাবি করেছেন, বরিষ্ঠ নেতারা যুবনেতাদের উত্থানের পথ বন্ধ করে দেন। ইতিমধ্যে হরিয়ানা কংগ্রেস থেকে দল ছাড়ার সময় প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অশোক তানওয়ার জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতারা তাদের যুবনেতাদের ভবিষ্যৎ পুরোপুরি নষ্ট করে দিচ্ছেন‌। তবে সূত্রের খবর, রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া মুখে যাই বলুক না কেন, সামান্য টুইটারের বায়ো পরিবর্তনকে ঘিরে কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন তাঁর দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজেও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তিনিও তাঁর নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন। তবে পরবর্তীকালে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পদত্যাগ নিয়ে কোনো বিবৃতি বা প্রতিক্রিয়া জারি করা হয়নি। মধ্যপ্রদেশ রাজস্থানে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। সেই সরকারকে সরিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে আসন দখল করে নেয় প্রদেশ কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন যথাক্রমে দুই তরুণ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও শচীন পাইলট।

কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা যায়, দুই রাজ্যে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন দুই প্রবীণ নেতা। অনেক দরকষাকষি করে শচীন পাইলট উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ পান। তবে সূত্রের দাবি, 2019 এর লোকসভার আগে শোনা গিয়েছিল রাহুল গান্ধী যদি দিল্লির মসনদে আসেন তাহলে মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে চলেছেন জ্যোতিরাদিত্য। যদিও 2019 এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস এর চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে এবং নিজের কেন্দ্রে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া হেরে যান।

আপাতত মধ্যপ্রদেশ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতুহল বাড়ছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, আবার হয়তো নতুন কোন নাটকের সূত্রপাত হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া টুইটার পরিবর্তন যে মধ্যপ্রদেশের রাজনীতির ওপর একটা বড় ছাপ ফেলেছে, সে কথা অস্বীকার করা যায় না। কারণ তাঁর টুইটার বায়ো থেকে ‘কংগ্রেস’ শব্দটি বাদ হয়ে গেছে। তবে এই মুহূর্তে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পক্ষ থেকে টুইটারে তার বায়ো পরিবর্তন হওয়ার সাধারণ কারণ ছাড়া অন্য কিছুই জানা যায়নি। সমগ্র পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!