সিএএ ও এনারসির ভীতি, ফের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে, ভাঙছে দল, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য January 6, 2020 রাজ্যের লোকসভা ভোটের পর থেকে তৃণমূল থেকে বহু সদস্য নেতারা বিজেপিতে চলে যান। বেশ কয়েক মাস যেতে না যেতেই তাঁরা আবার ফিরতে শুরু করেন। তাই নিয়ে এমনিতেই চিন্তিত ছিল রাজ্য বিজেপি অন্দর। এরই মধ্যে সিএএ ও এনআরসি নিয়ে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে। আর এই ক্ষোভের আগুন বিজেপির অন্দরেও জ্বলেছে বলে দাবি তৃণমূলের। অন্যদিকে, সেকারণে এবার সি এএ ও এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি থেকে প্রায় 300 জন কর্মী-সমর্থক শাসকদলের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়ায় এলেন বলে মনে করছে তৃণমূল গোষ্ঠী। এদিন উত্তর 24 পরগনা গোবরডাঙ্গার প্রায় 300 জন বিজেপি কর্মী খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরে তৃণমূলে প্রবেশ করলেন। ফলে গোবরডাঙা এলাকায় তৃণমূলের যথেষ্ট শক্তি বাড়লো বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তর 24 পরগনার গোবরডাঙ্গার গড়পাড়া এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বসে শনিবার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বৈঠক করেন। শুধু তাই নয়, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে ও বিভিন্ন বিধানসভার নেতৃত্বদের নিয়ে আলাদা বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় বাবু। গত লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের হাতছাড়া হয়। তবে এদিন বৈঠক করে দলীয় নেতৃত্বকে চাঙ্গা করার চেষ্টা চালানো হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এদিন গোবরডাঙ্গা দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রায় 300 বিজেপি কর্মী খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় থেকে দলীয় পতাকা গ্রহণ করেন। এই অনুষ্ঠানে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ছাড়াও ছিলেন উত্তর 24 পরগনা জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তৃণমূল নেত্রী মমতা বালা ঠাকুর। এছাড়াও গোবিন্দ দাস সহ গোবরডাঙ্গা পৌরসভার চেয়ারম্যান সুভাষ দত্ত। এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন, দলবদলের সুযোগে কিছু সিপিএম কর্মী বিজেপিতে ঢুকে অশান্তি শুরু করে এবং সে কারণেই এত জন বিজেপি কর্মী দল ছাড়ছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে, ভাটপাড়া পুরসভা নিয়েও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ‘সোমবার থেকে দেখে নেবেন কি হয়, একদিনের রাজা একজন হতে পারে আমরা 365 দিনের রাজা।’ অন্যদিকে, নৈহাটির বাজি কারখানা বিস্ফোরণ নিয়ে এদিন বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয়রা যাতে উপযুক্ত কাজের সন্ধান পায়, সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি সাধারণ মানুষদের পাশে আছেন। অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের পর থেকে হয়ে যাওয়া প্রতিনিয়ত এই দলবদল এর ফলে বিজেপি অন্দরে যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে যেভাবে বিজেপি থেকে দলবদল এর ফলে বহু সদস্য চলে যাচ্ছে তা যথেষ্ট চিন্তার কারণ। রাজ্য বিজেপির উচিত এদিকে নজর দেওয়া। এদিকে বলাই যায়, তৃণমূল দল এই দলবদল এরফলে ক্রমাগত তাদের শক্তি বাড়াচ্ছে। আপাতত রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির লক্ষ্য 2021 এর রাজ্য বিধানসভা দখল। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই তৃণমূলের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই পোক্ত হলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আপনার মতামত জানান -