টীম পিকের এই কঠিন পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই মিলবে টিকিট! সরগরম শাসকদলের অন্দরমহল! কলকাতা রাজ্য February 6, 2020 লোকসভা নির্বাচনে কিছুটা ধাক্কা খাওয়ার পরেই দলের রননীতিকার হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ করেন প্রশান্ত কিশোরকে। আর প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দিদিকে বলো কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলকে যেমন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য করেন তিনি, ঠিক তেমনই স্থানীয় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের চালচিত্র নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে জনাদেশ নিতে শুরু করে এই টিম। বর্তমানে আর কিছুদিন পরেই পৌরসভা নির্বাচন হবে এই রাজ্যে। আর তার আগে এবার জনপ্রতিনিধিদের জনসংযোগ বুঝতে টিম পিকছর তরফ থেকে নেওয়া হচ্ছে লিখিত পরীক্ষা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর প্রশান্ত কিশোরের টিমের সেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির মুখে পড়েছেন। চার পাতার সেই প্রশ্নপত্রে নানারকম খুঁটিনাটি প্রশ্ন রয়েছে বলে খবর। যেখানে ওয়ার্ডে কতগুলো শনি মন্দির, মন্দিরের পুরহিতের নাম, ফোন নম্বর ইত্যাদি কঠিন কঠিন প্রশ্ন করা হয়েছে। অর্থাৎ এই সমস্ত খুঁটিনাটি প্রশ্ন করে তৃণমূল কাউন্সিলর এলাকার প্রতি কতটা সচেতন, তা জেনে নিতে চাইছে প্রশান্ত কিশোরের টিম বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর এই প্রশ্ন দেওয়ার সময় সেই প্রশ্নের উত্তর জনপ্রতিনিধিকে একাই দিতে হচ্ছে সেই উত্তর। তাই দলের অন্যজনের তরফ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার কোনো জায়গা নেই। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। তথ্য জোগাড় করতে ইতিমধ্যে বেশকিছু কাউন্সিলার নানা জায়গায় ছোটাছুটি করা শুরু করে দিয়েছেন। আর এসব দেখে প্রশান্ত কিশোরের টিম ধরে ফেলেছে যে, এখানকার তৃণমূল কাউন্সিলররা এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঠিকঠাক যোগাযোগ রাখেননি। আর তাই তারা এখন অজানা জিনিসকে জানতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন। কারণ তাদের দরকার দলের টিকিট। আর সেদিক থেকে তারা যে প্রশান্ত কিশোরের এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পাশ না করতে পারলে তা পাবে না, তা বুঝতে পেরেই এখন তৃণমূল কাউন্সিলরদের এলাকা সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে বলে দাবি একাংশের। জানা গেছে, প্রশ্নের ধরন এমন সময় এরকম হচ্ছে যে, সেই কাউন্সিলারের এলাকায় ব্যাংকের কাজ করে এমন তিনজনের নাম, মসজিদের ইমামের নম্বর, সোসাইটির সম্পাদকের নম্বর চাওয়া হচ্ছে। আর তা দিতে না পারলেই চাপের মুখে পড়ছেন কাউন্সিলররা। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগাস্তি, মেয়র পরিষদ সদস্য প্রভাত চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাখি তিওয়ারি, পবিত্র চট্টোপাধ্যায়, ধর্মেন্দ্র যাদব, রাজীব ঘোষ সহ একাধিক তৃণমূলের নেতা নেত্রীর পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে যদি কেউ উত্তর দিতে না পারে তাহলে সে ক্ষেত্রে তার কাছে সাথে সাথেই ফোন আসতে শুরু করছে আর যদি সেই সমস্ত তৃণমূলের নেতা নেত্রী ফোন না ধরেন তাহলে সরাসরি কলকাতার নম্বর থেকে ফোন করা হচ্ছে তাদের। সেদিক থেকে বর্তমানে তৃণমূল কাউন্সিলরদের ফাঁকিবাজি দেওয়ার কোনো জায়গা নেই বলেই মনে করছে একাংশ। আর ঠিকঠাক ভাবে যদি তৃণমূল কাউন্সিলরের প্রশান্ত কিশোরের এই লিখিত পরীক্ষার কাছে সঠিক উত্তর দিতে না পারেন, তাহলে তাদের ভবিষ্যতে যে আর টিকিট মিলবে না, সেই ব্যাপারেও আশঙ্কা করতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন এই পরিস্থিতিতে কতজন কাউন্সিলার পিকের টিমের এই পরীক্ষায় পাস করতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -