এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নির্মাণ শ্রমিকদের বস্তিতে গত ২ দিনে আক্রান্ত ১০! নতুন করোনা আতঙ্কের স্থান সিল করল সরকার

নির্মাণ শ্রমিকদের বস্তিতে গত ২ দিনে আক্রান্ত ১০! নতুন করোনা আতঙ্কের স্থান সিল করল সরকার

চীন দেশ থেকে উৎপত্তি হয়ে এক অজানা মারণ ভাইরাস বিশ্ব আকাশে হানা দিয়েছে। শোনা গেছে ১২৪ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই বিধ্বংসী ভাইরাস। ভারতও এই মরণ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। এবার করোনার দাপাদাপি শুরু হয়েছে বেঙ্গালুরুর একটি ঘনজনবসতিপূর্ণ নির্মাণ শ্রমিকদের বস্তিতে।ওই বস্তিতে গত ২ দিনে আক্রান্ত ১০ জন।কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ১৮৪ জনকে।

নতুন করোনা আতঙ্কের জেরে আংশিক ভাবে সিল করে দেওয়া হল ওই ঘনজনবসতিপূর্ণ বস্তি। গত দু’দিনে ওই এলাকার ১০ জনের শরীরে খোঁজ মেলার পরেই সিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্নাটক সরকার। জানা গেছে, সাধারণত দিনমজুর মানুষজনই হোঙ্গাসান্দ্রা এলাকার ওই বস্তির বাসিন্দা। ওই মজুরদের একটা বড় অংশ নির্মাণ শ্রমিক। কয়েকজনের করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার জন্য এলাকার সমস্ত মানুষেরই টেস্ট করানো হবে ।

বিহার থেকে আসা এক অভিবাসী শ্রমিকের দেহে প্রথম ধরা পড়ে সংক্রমণ। ৫৪ বছরের ওই শ্রমিক মেট্রো প্রকল্পে কাজ করেন। এর পরেই আরও ন’জন আক্রান্তের খোঁজ মেলে। প্রশাসক দফতর সূত্রের খবর, ঘনবসতির বস্তি এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তি এমনিতেই গোটা দেশের দুশ্চিন্তা বাড়িচ্ছে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এর আগে আমরা দেখেছি এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিতে গত তিন সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রাণ কেড়েছে ১৩ জনের। এর সংক্রমণ আটকাতে  না পারলে গোটা মহারাষ্ট্র বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে ।হোঙ্গাসান্দ্রার বস্তি থেকে গোটা রাজ্য সংক্রামিত হবার আশঙ্কা করা যায়। এখনও পর্যন্ত কর্ণাটকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪৫, মৃত্যু বরণ করেছে ১৭ জন। সেরে উঠেছেন ১৪৫ জন। করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসার জন্য গোটা রাজ্যের ১৮ হাজার ২৪৬ জন রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

কর্নাটকের মেডিক্যাল এডুকেশন মন্ত্রী ডক্টর কে সুধাকর বলেন, ‘বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সকলের পরীক্ষা করানো হবে। প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি বেশ কয়েক দিন ধরে উপসর্গ নিয়ে ভুগেছেন, গুরুত্ব দেননি। ফলে ঝুঁকি বেড়েছে। তবে উনি কীভাবে আক্রান্ত হলেন, জানা যায়নি।’

সূত্রের খবর, লকডাউন এর জন্য ওই ব্যক্তির কারখানায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেই জন্য রান্না করে বাড়ি বাড়ি হোম ডেলিভারি দেন। ওই কাজ করতে গিয়েই তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন । যে অটোরিক্সা করে তিনি ডেলিভারি দিতে বেরোতেন সেই অটো রিক্সার ড্রাইভারকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে আতঙ্ক বাড়লো বেঙ্গালুরুবাসীদের জন্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!